Advertisement
Advertisement

৯ বছরের কিশোরকে হত্যা করে তার মাংস খেল নাবালক

তার চোখ মুখ দেখে বোঝার উপায় ছিল না, যে এমন নৃশংস কাণ্ডঘটিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে৷

Minor boy brutally murders mate, eats flesh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 21, 2017 11:09 am
  • Updated:January 21, 2017 11:10 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে বয়সে হাতে খেলনা থাকার কথা, সেই বয়সেই রক্তে রাঙা হল কিশোরের হাত৷ তাও আবার ইচ্ছাকৃতভাবে! ৯ বছরের বালককে খুন করে তার দেহের মাংস কেটে খেল এক নাবালক৷ এমনই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে লুধিয়ানার দুগরি এলাকায়৷ ঘটনায় আটক করা হয়েছে নাবালককে৷

(সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে মাওবাদীদের নিশানায় মোদি)

পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে দীপু কুমার নামে ৯ বছরের ওই বালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পরের দিন তার মুণ্ডহীন টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ দুই কিশোর একই এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তান৷ একে অপরকে আগে থেকেই চিনত তারা৷ জিজ্ঞাসাবাদে নাবালক জানায়, সোমবার দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ ঘুড়ি দেওয়ার নাম করে দীপুকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় সে৷ সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না৷ দীপুর গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে খুন করে সে৷ তারপর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দেহকে ছয় টুকরো করে৷ এমনকী বালকের মাংস খায়, রক্তও পান করে সে৷ তারপর দীপুর দেহ বস্তায় ভরে সাইকেলে চাপিয়ে দূরে ফাঁকা স্থানে ফেলে দিয়ে আসে৷ এখানেই শেষ নয়৷ দীপুর হৃৎপিণ্ডটি আলাদা করে কেটে বের করে নিজের স্কুল চত্বরে ফেলে দেয়৷ কেন এমনটা করল সে? উত্তরে কিশোর জানায়, স্কুলের শিক্ষককে পছন্দ করত না সে৷ তাই এভাবে স্কুলের বদনাম করতে চেয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র৷

Advertisement

(জাল্লিকাট্টুর পক্ষে অর্ডিন্যান্স জারি তামিলনাড়ুতে, সম্মতি মিলল কেন্দ্রের)

আর পাঁচদিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরে বাবার জন্য রান্নাও করে৷ তার চোখ মুখ দেখে বোঝার উপায় ছিল না, যে এমন নৃশংস কাণ্ডঘটিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে৷ গত মঙ্গলবার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দীপুর খোঁজ পায় পুলিশ৷ সেই ফুটেজেই দীপু এবং ওই কিশোরকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল৷ তারপরই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানতে পারে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই কাঁচা মাংস খেতে চাইত ওই নাবালক৷ এমনকী এক এক সময় নিজের হাত পাও কামড়ে খাওয়ার চেষ্টা করত৷ মৃত কিশোরের দেহ এবং হৃদপিণ্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নাবালককে চিকিৎসার জন্য মনবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ