সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুশকিলটা হয় বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝের জায়গাটায়!
যত দিন আপনি ভূত দেখেননি বা অনুভব করেননি, তত দিন পুরোটাই আপনার কাছে ছেলেখেলা!
কিন্তু, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই মুসৌরির এই হোটেলের ধারে-কাছে কেউ কেন ঘেঁষতে চায় না?
গল্পের শুরু ১৯১০ সালে। সেই সময়ে মুসৌরির ঠিক মাঝামাঝি সদর্পে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল সেভয় হোটেল। তার জৌলুস ছিল দেখার মতো। মান্যগণ্য অতিথিরা এলে উঠতেন এই সেভয়-তেই!
তবে, মাত্র এক বছর ছিল সেভয়-এর এই স্বর্ণযুগ। ছবিটা বদলে যায় হোটেলে এক প্রেততত্ত্ববিদের পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে।
সাল ১৯১১। সেভয়-এ থাকতে আসেন প্রেততত্ত্ববিদ মিস ফ্রান্সেস গারমেট ওরমে। বছর ৪৯-এর মিস ফ্রান্সেসের ছায়াসঙ্গিনী ছিলেন মিস ইভা মাউন্টস্টিফেন।
তাঁরা কি সবার অলক্ষ্যে প্রেতচর্চার আসর বসিয়েছিলেন হোটেলে? নিজেদের অজান্তেই ডেকে এনেছিলেন বিপদ?
বলা মুশকিল। কেন না, মিস ফ্রান্সেসকে ঘটনার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছিল শুধু মিস ইভার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, তাঁর ওষুধে বিষ মেশানো ছিল।
ঘটনায় মিস ফ্রান্সেসের হাত আছে কি নেই, সেটা প্রমাণিত হয়নি। তবে, তার পর যা ঘটে, তা বিশুদ্ধ ভৌতিক ঘটনা। মাঝে মাঝেই হোটেলের ওই বিশেষ ঘরে তো বটেই, আরও অনেক জায়গাতেই দেখা দিতে থাকেন মিস ইভা। শুধু দেখা দিয়েই তিনি মিলিয়ে যেতেন না। বরং, অকালমৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হোটেলের বাসিন্দাদের প্ররোচিত করতেন আত্মহত্যায়। এরকম চলতে থাকায় এক সময়ে হোটেলের দরজায় তালা দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু, মিস ইভা হোটেল ছেড়ে যাননি। মুসৌরিতে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করুন, দেখবেন, তাঁরা আপনাকে ধারে-কাছে যেতে বারণ করছে। বিশেষ করে শনিবার, বড়দিন বা বছর শেষের সময়টায় কেউই ওখানে যান না।
যাঁরা গিয়েছেন, রহস্যমৃত্যু তাঁদের গ্রাস করেছে।
অবিশ্বাস আপনি করতেই পারেন। কিন্তু, আগাথা ক্রিস্টির প্রথম উপন্যাসেই উল্লেখ আছে সেভয় হোটেলের এই ঘটনার। বইটার নাম দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইল। আবার, রাস্কিন বন্ডও তাঁর ইন আ ক্রিস্টাল বল: আ মুসৌরি মিস্ট্রি-তে ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
চাইলে লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন। পড়া থাকলে একটু ভেবে দেখুন নতুন করে!
ভয়ের কারণ না থাকলে হেরিটেজ হোটেলের দরজায় তালা কেন?
বাড়িটা তো এখনও বহাল তবিয়তেই আছে!