Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণী মডেলকে নৃশংসভাবে খুন ফটোগ্রাফারের

অচেতন মডেলকে ধর্ষণের চেষ্টা করে যুবক।

Model murdered for saying no to sex
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 25, 2019 5:05 pm
  • Updated:January 25, 2019 5:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফটোগ্রাফির লোভ দেখিয়ে যুবতীকে যৌনতার প্রস্তাব। না করায় কাঠের টুল দিয়ে মাথায় আঘাত করে ২০ বছরের মডেলকে খুন যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে। বাঙ্গুরনগর পুলিশ স্টেশনে সম্প্রতি চার্জশিট থেকে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। মৃত যুবতীর নাম মানসী দীক্ষিত। অভিযুক্ত সইদ মুজাম্মিল পুলিশের জেরায় এই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। গতবছর ১৫ অক্টোবর মানসীকে খুন করে মুজাম্মিল। তারপর দেহ ক্যাবে করে নিয়ে গিয়ে ফুটপাথে ফেলে দেয়। ক্যাব ড্রাইভার পুলিশে খবর দেওয়ায় ধরা পড়ে যুবক।

[শত্রুকে ‘অন্ধ’ করতে ভারতীয় সেনার হাতে আসছে ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ মিসাইল]

জেরার মুখে পড়ে গোটা ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে মুজাম্মিল। পুলিশের কাছে সে বলে, “আমি ফটোশুটের জন্য ওকে ডেকেছিলাম। আর তার সঙ্গে যৌন মিলন করার অনুরোধ করি। ও রাজি না হওয়ায় টুল দিয়ে মাথায় আঘাত করি।”১৯ বছরের মুজাম্মিলকে ফটোগ্রাফির জন্য বাড়িতে ডাকে মানসী। ফটোশুটের বদলে পারিশ্রমিক হিসেবে যৌন মিলনের অনুরোধ করে যুবক। কিন্তু কড়া ভাবে মুজাম্মিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মানসী। তারপরই রাগে কাঠের টুল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মুজাম্মিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অচেতন মডেলকে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। মুজাম্মিলের জামা থেকে বীর্যের নমুনা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মানসীর গোপনাঙ্গে ঘর্ষণের দাগ পাওয়া গিয়েছে। একটি ব্যাগে মানসীর দেহ ভরে ক্যাব বুক করেছিল মুজাম্মিল। কিন্তু এত ভারী প্যাকেট বলে ক্যাব ড্রাইভার যেতে রাজি হয়নি। জিজ্ঞাসা করে, কী আছে ব্যাগে! মুজাম্মিল জানায়, তার দাদা দু’টো জাইলো গাড়ি বুক করেছে। মোট চারজন যাবে। সে কিছু জানে না। তারপর ওই বুকিং ক্যানসেল করে নতুন ক্যাব বুক করে। প্রথমে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বুক করলেও ক্যাবে ওঠার পর ডেস্টিনেশন চেঞ্জ করে সে। তারপর মালাড এলাকার মাইন্ডস্পেসের কাছে নেমে যায়।

Advertisement

[দেশের সুরক্ষায় প্রাণত্যাগ, মরণোত্তর অশোক চক্র সম্মান পাচ্ছেন প্রাক্তন জঙ্গি]

এত ভারি প্যাকেট দেখে এই ক্যাব ড্রাইভারেরও সন্দেহ হয়। মুজাম্মিল তাড়াতাড়ি ক্যাব থেকে নেমে ফুটপাথে প্যাকেটটি ফেলে দেয়। তড়িঘড়ি অটো ধরে নেয়। সেই ক্যাব ড্রাইভার প্যাকেট খুলে মডেলের দড়ি বাঁধা দেহ দেখতে পেয়েই ভয় পেয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয় সে। ওশিওয়াড়া অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। মুজাম্মিলের পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার মাত্র একদিন আগে হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ঘুরতে এসেছিল সে। কীভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হল, তা জানে না তারা। আরও দু’জন মেয়েকে ছবি তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ