সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অমর’ হওয়ার উপায় বাতলে দিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। ওই সংগঠনের মুখপাত্র আবদুল্লাহ গজনবির মতে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করলে কাশ্মীরিদের কাছে ‘অমর’ হয়ে থাকবেন মোদি। ওই জঙ্গি আরও জানায় যে, সেনা প্রত্যাহার না করলে ভারতকে এর ফল ভোগ করতে হবে।
[‘আজাদি’ চাইলে স্কলারশিপ ছাড়ুক যাদবপুরের পড়ুয়ারা, তোপ রূপার]
রবিবার, কাশ্মীরে দেশের দীর্ঘতম টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কাশ্মীরের উন্নতি ও দেশের অর্থনৈতিক প্রগতিতে ওই টানেল সাহায্য করবে বলেও বলেছিলেন মোদি। তাঁর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কাশ্মীরিরা ভেবে দেখুক তাঁরা কি চায় ‘টেরোরিজম না টুরিজম’। উপত্যকায় অর্থনৈতিক উন্নতি হলে সন্ত্রাসবাদীদের চক্রান্ত বিফলে যাবে তাই মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে লস্কর। ভারত যতই অর্থনৈতিক সাহায্যের লোভ দেখাক না কেন, কাশ্মীরিদের বোকা বানাতে পারবে না। এমনটাই দাবি লস্কর নেতা গজনবির। একই সঙ্গে মোদিকে ‘মুসলিম হত্যাকারী’ বলেও আখ্যা দিয়েছে ওই জঙ্গিনেতা।
[বিরল রোগে আক্রান্ত ৩ বাংলাদেশির চিকিৎসায় পাশে দাঁড়াল এয়ার ইন্ডিয়া]
জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জঙ্গি কার্যকলাপ যার মূলে রয়েছে লস্কর, জৈশ ও হিজবুলের মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠনগুলি। সম্প্রতি, এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হত্যার ছক কষছে লস্কর। নিরাপত্তা মহলের উদ্বেগে বাড়িয়ে এবার কাশ্মীরে ‘কুইট কাশ্মীর মুভমেন্ট’ নামের আড়ালে নাশকতা চালাচ্ছে লস্কর। সন্ত্রাসবাদী আক্রমণকে কাশ্মীরিদের ‘স্বাধীনতার লড়াই’ হিসেবে প্রতিপন্ন করার জন্যই এই পন্থা নিয়েছে লস্কর, জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও তাদের নিশানায় রয়েছে হুরিয়াত নেতারা। সম্প্রতি, কাশ্মীরে আবার মাথা চাড়া দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-মুজাহিদিন। হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি যুবক সন্ত্রাসবাদী দলগুলিতে নাম লিখিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।