সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে ঢেকেছে দিল্লি। দূষণের মাত্রায় বাকি শহরগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দেশের রাজধানী। সুস্থ থাকতে ও সুস্থ রাখতে শহরকে দূষণমুক্ত করতেই হবে। অভিনব কায়দায় এই বার্তাই দিল স্কুল পড়ুয়ারা। সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশ খুদেদের এই সচেতনতার বার্তা প্রদর্শন জায়গা করে নিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
কীভাবে সমাজকে সচেতন করল তারা? শনিবার রাজধানীর থ্যাগারাজ স্টেডিয়ামে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি স্কুল পড়ুয়া একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুসফুসের আকৃতি ধারণ করে। লাং কেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগেই দিল্লির এই স্টেডিয়ামে শামিল হয়েছিল ৩৫টি স্কুলে সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী। লাল ও নীল রঙের পোশাকে সুসজ্জিত পড়ুয়ারা ফুসফুসের আকৃতি তৈরি করেছিল স্টেডিয়াম জুড়ে। তারপরই দেখানো হয়, কীভাবে দূষণের কারণে ফুসফুসের স্বাভাবিক রং বদলে হয়ে যাচ্ছে কালো। পড়ুয়াদের এই প্রদর্শনীই গিনেস বুকে নাম তুলেছে। এর পাশাপাশি ফাউন্ডেশনটি আট থেকে আশি সকলকেই সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে আহ্বান জানিয়েছে। বায়ুদূষণ রোধের এই বিশেষ পদক্ষেপের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংকল্প সে সিদ্ধি’।
[ফিকো থেকে মহম্মদ রফি, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ডুডলের]
ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। সেই সঙ্গে সমাজকে দূষণ মুক্ত করতে ছাত্রছাত্রীদের এমন প্রদর্শনীকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি পড়ুয়াদের এই অভিনব বার্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি জানিয়েছে, লাং কেয়ার ফাউন্ডেশনের এমন অভিনব উদ্যোগ নিঃসন্দেহে শহর জুড়ে সাড়া ফেলবে এবং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করে তুলতে সাহায্য করবে। আর তাহলেই দূষণে ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশগুলির মধ্যে ১৭ নম্বরে রয়েছে ভারত। আর দেশে শীর্ষে দিল্লি। ফলে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর সেই কারণেই এই ফাউন্ডেশনের পদক্ষেপ দিল্লির বর্তমান ছবিটা খানিকটা হলেও পালটে দিতে সফল হবে বলে আশা দিল্লিবাসীর।