সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার রাম জন্মভূমি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য শঙ্করাচার্যের। রামচন্দ্রের জন্মস্থান অযোধ্যায় কখনও মসজিদ ছিল না। ১৯৯২ সালে করসেবকরা যেটা ভাঙেন তা আসলে মন্দির ছিল। এমনটাই দাবি, দ্বারকা পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর।
[লিঙ্গায়তকে আলাদা ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি, মোক্ষম চাল সিদ্দারামাইয়ার]
রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ বিতর্কে প্রশ্ন করা হলে এমনটাই জানান তিনি। তাঁর সংযোজন, বিতর্কিত ভূমিতে আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হলেই সেখানে বিরাট এক রাম মন্দিরের নির্মাণ করা হবে। তাঁর এহেন বয়ান ইতিমধ্যে উসকে দিয়েছে বিতর্ক। সাময়িকভাবে কিছুটা থিতিয়ে এলেও শঙ্করাচার্যের বয়ানের ফলে ফের আগুনে ঘি পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই মন্তব্য করা হয়েছে। যেহেতু ধর্মগুরু হিসেবে যথেষ্ট প্রতিপত্তি রয়েছে শঙ্করাচার্যের তাই তাঁর মন্তব্যে প্রভাব পড়বে অনেকটাই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকেও একহাত নেন শঙ্করাচার্য। তিনি বলেন, যখনই তিনি মোদি ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সমালোচনা করেন, তখনই তাঁকে কংগ্রেসের বলা হয়। পরাধীন ভারতে তিনি কংগ্রেসি ছিলেন। কারণ তখন ওই দল ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াই করত। কিন্তু আজ তিনি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আজ তিনি একজন ধর্মীয় নেতা। তাই তাঁর কাজ সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা।
[অদ্ভুত সিদ্ধান্ত! দূষণ কমাতে ৫০০ কুইন্টাল কাঠ পুড়িয়েই মহাযজ্ঞ]
উল্লেখ্য, বিতর্ক উসকে আলিগড়ে হিন্দু মহাসভা একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। সেখানে মুঘল জমানার একাধিক স্থাপত্যকে হিন্দু মন্দির বলে দাবি করা হয়। তাজমহলকে ‘তাজ মহালয়া মন্দির’ হিসেবে দেখানো হয়েছে ওই ক্যালেন্ডারে। একই সঙ্গে প্রসিদ্ধ কুতুব মিনারকে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ বলে দাবি করা হয়েছে। বারাণসীর জ্ঞানবাপি মসজিদ আসলে বিশ্বনাথ মন্দির। এমনটাই দাবি করেছে হিন্দু মহাসভা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে নির্বাচন হারায় ব্যাকফুটে বিজেপি। তাই ফের হিন্দুত্বের জিগির তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির।