সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জঙ্গল জঙ্গল বাত চলি হ্যায়, পাতা চলা হ্যায়/ চাড্ডি পহন কে ফুল খিলা হ্যায়, ফুল খিলা হ্যায়’। মোগলি, জাঙ্গল বুক, নামগুলোতে জড়িয়ে রয়েছে এক প্রজন্মের শৈশবের স্মৃতি। স্কুল থেকে ফিরে টিভি খুলে বসে যাওয়া। সব ভুলে বোকা বাক্সের পর্দায় চোখ। রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্রের দেখা মিলেছিল সিনেমার পর্দাতে। এবার বাস্তবেও দেখা মিলল মোগলির। তাও কিনা আমাদের দেশে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে।
বেঙ্গালুরু থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আল্লাপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। সেখানেই বছর দুইয়ের এক খুদের সঙ্গে খেলা করছে একদল লাঙুর বাঁদর। হাত মেলাচ্ছে, খাওয়াদাওয়া করছে। আর এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। “প্রথমে তো খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম যে ছোটবেলা থেকেই জঙ্গলের পাশেই খেলাধূলা করছে, আমার ভাইপোকে কেড়ে নিয়ে চলে যাবে বাঁদরের দল। তারপরে ভয় ভেঙে গেল।” পাশের ক্ষেতেই কাজ করছিল বছর দুইয়ের সমর্থ বাঙ্গারির বাবা-মা। আর সমর্থ? সে তখন ‘মাঙ্কি ফ্রেন্ড’-দের সঙ্গে হাত মেলাতে ব্যস্ত। কোনওরকম অসুবিধাই হয়না তার লাঙুরের দলে মিশতে, খেলা করতে। এখনও আধো আধো বুলিতে কথা বলে সে। কিন্তু লাঙুর বাঁদরদের সঙ্গে দিব্যি মিলেমিশে গল্পগাছা করতে পারে সে।
নিয়ম করে লাঙুরগুলো আসে খুদে মোগলির সঙ্গে দেখা করতে। এমনকী ঘুমালে তারা নিজেরাই এসে সমর্থকে এক ধাক্কা মেলে ঘুম থেকে তুলে দেয়। ঘুম না ভাঙলে অপেক্ষা করে খুদে বন্ধর জন্য। সমর্থর পরিবারের ক্ষেতের ধারে প্রায় ২০টি লাঙুর বাঁদর ঘুরেফিরে বেরাচ্ছে। লাঙুরগুলিও খুদের সান্নিধ্য উপভোগ করছে। খাবার-দাবার ভাগ করে খাচ্ছে। সমর্থ এখন আল্লাপুরের তারকা। তাকে দেখতেও লোকজন এখন ভিড় জমাচ্ছে। লাঙুর বাঁদরদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলার কারণে সমর্থ রীতিমতো হিরো। সমর্থ যেভাবে লাঙুর বাঁদরদের সঙ্গে কথোপকথন করে, দেখে মনে হয় পরস্পরের ভাষা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয় না তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.