Advertisement
Advertisement

Breaking News

অপরাধবোধ থেকে নিষ্কৃতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ ইঞ্জিনিয়ার

কিন্তু কী এমন অপরাধ করেছিলেন তিনি? কেনইবা মিলছে না শাস্তি?

Mumbai Man Wants To Cancel His Degree for Cheating
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 8, 2016 2:16 pm
  • Updated:September 8, 2016 2:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুশোচনা অতি বিষম বস্তু৷ দস্যু রত্নাকরকে পর্যন্ত বাল্মীকিতে রূপান্তরিত করেছিল এই অপরাধবোধ৷ কিন্তু কলি যুগে আর সেই সুযোগ কোথায়? পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন, তবে অপরাধের শাস্তির পাওয়ার জন্য গত তিন বছর ধরেও আবেদন-নিবেদন করেও লাভ হচ্ছে না বৈভব পাটিলের৷

কিন্তু কী এমন অপরাধ করেছিলেন বৈভব? ২৬ বছরের এই যুবক পড়তেন মুম্বইয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ২০১১ সালে সেখান নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেন তিনি৷ কিন্তু, পাশ করেও মনে শান্তি ছিল না তাঁর৷ কারণ অতীতে করা একটিমাত্র অপরাধ৷ কী সেই অপরাধ?

Advertisement

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বছরেই অঙ্কের দ্বিতীয় পত্রে ফেল করে বসেন ২৬ বছরের বৈভব৷ মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা হয় তাঁর৷ কী করবেন, কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না৷ এমন সময় বন্ধুর মাধ্যমে এক দালালের সঙ্গে পরিচয় হয় বৈভবের৷ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে যে সেই বছর পাশ করিয়ে দেয় তাঁকে৷

Advertisement

এই ঘটনার পর বহু সময় কেটে গেলেও অপরাধবোধ থেকে নিষ্কৃতি পাননি বৈভব৷ এই জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও কোনও চাকরি গ্রহণ করেননি তিনি৷ মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে৷ এর থেকে মুক্তি পেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হন বৈভব৷ অনুরোধ জানান তাঁর ডিগ্রি বাতিল করে দিতে৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তা করতে নারাজ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি, কীভাবে এই প্রতারণা বৈভব করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাচ্ছেন না তিনি৷ এমনকী সেই দালালের নামও বলতে তিনি রাজি নন৷ এছাড়া মহারাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কোনও ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিগ্রি বাতিল করা যায় না৷

বৈভবের পাল্টা যুক্তি, দালালের নাম বলে দিলে অনেক পড়ুয়াই বিপদে পড়তে পারেন৷ সেই কারণেই তিনি নাম বলতে চাইছেন না৷ তাঁর অভিযোগ নিজের আর্জি নিয়ে গত তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র দরবার করেছেন তিনি৷ কিন্তু লাভ তো হয়নি, উল্টে অনেকেই তাঁকে মনোবিদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷

শেষে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মুম্বইয়ের যুবক৷ কিন্তু তাঁর অভিযোগ, সেখানেও হারের ভয়ে তাঁর মামলা লড়তে কেউ রাজি ছিলেন না৷ এক আইনজীবী তাঁর পিটিশনটুকু দাখিল করতে রাজি ছিলেন বটে, তবে তাঁর একটাই শর্ত ছিল, পরিচয় গোপন রেখে এই কাজ করে দেবেন তিনি৷ তাঁর কল্যাণেই ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে পিটিশন দাখিল হয় বৈভবের অভিযোগের ভিত্তিতে৷ সেই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে গৃহিত হয় মামলা৷ আপাতত নিজের মামলা নিজেই লড়ে যাচ্ছেন বৈভব৷ দাবি, অপরাধের শাস্তি চাই!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ