সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহা শিবরাত্রি পার্বণে এক অন্য সম্প্রীতির দৃশ্য দেখল কাশ্মীরের বান্দিপোরা। সেখানে এক শিব মন্দিরে ভক্তি ভরে মহা শিবরাত্রি পালন করলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। একসময় এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতরা। কিন্তু সুখের সেই দিন নেই। লাগাতার বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের চাপে উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। তবে এইবছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি করলেন মুসলিমরা। বান্দিপোরার শিব মন্দিরে জল ঢেলে তাঁরা সেই হিন্দু পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরে আসার আহ্বান জানালেন।
(মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ইসরো: মোদি)
শনিবার মন্দিরে পুজো দিতে প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়েছিলেন মুসলিমরা। অধিকাংশ প্ল্যাকার্ডে একটাই আহ্বান, পরের শিবরাত্রী একসঙ্গে পালন করার। কয়েকজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘চলো সব কাশ্মীরিরা এক হই। আমরা সবাই একই সমস্যার ভূক্তভোগী।’ মনসুর আহমেদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা হল উপত্যকার আত্মার অংশ। কিন্তু সেই আত্মা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের জেরে আজ কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা উদ্দেশে একটাই বার্তা দিতে চাই। দয়া করে ফিরে আসুন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’
নিঃসন্দেহে এই প্রয়াস দুই ধর্মের মধ্যে সোপানের কাজ করবে। এতে এটাই বোঝায় যে, ভ্রাতৃত্বের জোরের কাছে রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা কোনও কিছুই টিকতে পারে না। বরং প্রেম, সম্প্রীতিই শান্তির বাতাবরণ তৈরি করে দুই ধর্মের মধ্যে। হলই বা মুসলিম, কিন্তু তাদের এমন প্রয়াসে ভগবান শিবও নিশ্চয়ই আপ্লুত হয়েছেন।