Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্ধ হোক গো-হত্যা, কেন্দ্রের কাছে আর্জি আজমের শরিফের প্রধানের

কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছে।

Muslims should stop eating beef, urges Ajmer Dargah diwan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 3, 2017 3:20 pm
  • Updated:April 5, 2017 6:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধ হোক গো-হত্যা। গরুকেই জাতীয় পশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এমনই দাবি তুললেন খোদ আজমের দরগার প্রধান।

গো-হত্যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শয়ে শয়ে বেআইনি কসাইখানায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যোগীর দেখানো পথে হেঁটেছে উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু রাজ্য। গো-হত্যা বন্ধের ফতোয়া জারি হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। কিন্তু আজমের দরগার প্রধানের গলায় শোনা গেল উল্টো সুর। সোমবার গো-হত্যার প্রতিবাদ জানালেন জাইনুল আবেদিন আলি খান। তাঁর মতে, গরুর মতো উপকারী প্রাণীর হত্যা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়াই উচিত। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের কাছে গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জিও জানাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

[এবার ২০০ টাকার নোট আনছে আরবিআই]

ঐতিহাসিক আজমের শরিফ দরগার ৮০৫ তম বার্ষিক উরুস উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পর নিজের বক্তব্য পেশ করেন জাইনুল। তিনি জানান, দরগার সদস্যদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই তাঁদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গো-হত্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে অতীতেও জলঘোলা কম হয়নি। এমনকী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে একাধিকবার। তাই দরগার সদস্যরা চান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন এর স্থায়ী সমাধান করেন। দেশ জুড়ে আইনিভাবে গো-মাংস বিক্রি বন্ধ করলেই গো-হত্যা রোখা সম্ভব হবে বলে মত তাঁদের। সেই কারণেই কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছে।

Advertisement

[দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দ্বিতীয় জেএনইউ, পাঁচে যাদবপুর]

আজমের দরগা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দিল্লির ধর্মগুরু হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া। পাশাপাশি কর্নাটকের গুলবার্গা শরিফ, অন্ধ্রপ্রদেশের হালকাট্টা শরিফ, নাগপুর, বারেলি, ভাগলপুর, জয়পুর, গুজরাট-সহ রাজ্যের দরগা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে। জাইনুল বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা গো-মাংস বিক্রি করে, গরু পাচার করে এবং গো-মাংস খায়। যার ফলে প্রায়ই অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। অন্যদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গরুকে দেবতার আসনে বসায়। আর অন্য ধর্মকে সম্মান করা ইসলামের অন্যতম রীতি। তাই আমরা চাই, গো-হত্যার অভ্যেস বন্ধ হোক। যতদিন না পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে আমরা আবেদনে সাড়া পাচ্ছি, ততদিন হিন্দু বন্ধুদের আমাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানাই।”

[বিয়ের কার্ডেও স্বচ্ছ ভারতের লোগো, যুবককে চমকপ্রদ উপহার মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ