সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাসবন্দির জেরে ’৭৭ সালে হারতে হয়েছিল দৌর্দন্ডপ্রতাপ ইন্দিরা গান্ধীকেও। নোটবন্দির জেরে এবার পরাজয় স্বীকার করতে হবে বিজেপিকেও। এমনটাই মত তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের।
[ বাতিল নোট কতটা ফিরল? অবশেষে তথ্য প্রকাশ আরবিআই-এর ]
কালো টাকা রোখা ও সন্ত্রাসীদের কবজা করতে নোট বাতিলের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কেটেছে প্রায় ৯ মাস। কিন্তু ঠিক কত কালো টাকা উদ্ধার হল, তার কোনও হিসাব ছিল না। এ নিয়ে আরবিআই-কে যতবার জিজ্ঞেস করা হয়েছে জানানো হয়েছে, টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। অবশেষে ৩০ আগস্ট সে হিসেবে প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। জানিয়েছে, বাতিল হওয়া প্রায় ৯৯ শতাংশ নোটই ফিরে এসেছে। এমনকী, জাল নোটও জমা পড়েছে।
এই হিসেবই জানিয়ে দিয়েছে নোট বাতিলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ। কালো টাকা রদ হলে এত শতাংশ সরকারের ঘরে ফেরত যেত না। সরকারের প্রত্যাশাও তা ছিল না। কিন্তু হিসেব বলছে, সরকার যা আশা করেছিল তার থেকে বেশি টাকাই ফিরেছে। অর্থাৎ, কালো টাকার যে সমান্তরাল অর্থনীতি চলছিল তা তো বন্ধ হয়নি। উলটে কালো টাকা এই প্রক্রিয়াতে সাদাও হতে পারে। তার উপর নতুন নোট ছাপায় দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। তাও মানুষের করের টাকাতেই। এছাড়া দুর্ভোগ-হেনস্তা ও শতাধিক মানুষের মৃত্যু তো আছেই। এই তথ্য সামনে আসা মাত্রই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিলকে ‘ফ্লপ শো’ উল্লেখ করে পুরো ঘটনার তদন্তও দাবি করেছেন তিনি। নোট বাতিলের একেবারে গোড়া থেকে এবং ধারাবাহিকভাবই এর বিরোধিতা করেছেন মমতা। এবার তাঁর ভাবনাই আরও খোলসা হল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের কথায়।
[ ফসল বাঁচাতে স্কুলে বন্দি গরুর পাল, পড়াশোনা লাটে যোগীর রাজ্যের স্কুলে ]
নোট বাতিলের এই ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, নাসবন্দির জেরে ইন্দিরা গান্ধীকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। নোটবন্দির জেরে এবার সে পরিণতিই হবে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদিরও। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল সর্বোতভাবে বিশ্বাস করে নোট বাতিল ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ক্রমাগত উদ্দেশ্য পরিবর্তন করে গিয়েছেন। তাঁর আরজি, নভেম্বর থেক সমস্ত বক্তব্যের ক্লিপ ও সংবাদপত্র পড়লেই মানুষ বুঝতে পারবেন কীভাবে নোট বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা কথা বলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহমত হয়ে নোট বাতিলকে ফ্লফ শো বলতে দ্বিধা করেননি তিনিও। আর তাই তাঁর দাবি, এই নোট বাতিলই ২০১৯-এর নির্বাচনে বিদায় ঘণ্টা বাজাবে বিজেপির।