Advertisement
Advertisement

Breaking News

India

লাদাখে শহিদ বিশেষ বাহিনীর তিব্বতি জওয়ান, শেষ যাত্রায় উঠল ‘‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

‌৫১ বছর বয়সি তেনজিং এসএসএফের ৭ বিকাশ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি লিডার ছিলেন।

Nation bids tearful adieu to SFF commando Nyima Tenzin who lost his life along LAC
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:September 7, 2020 1:48 pm
  • Updated:September 7, 2020 1:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ শবদেহ নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় সেনার গাড়ি। পিছনে বাইকে তিব্বতের বিশেষ পতাকা লাগিয়ে শ’‌য়ে শ’‌য়ে মানু্ষ। গ্রামের বাড়িতে শেষবারের মতো স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের তিব্বতি জওয়ান নাইমা তেনজিংয়ের মরদেহ পৌঁছতেই আকাশ মুখরিত হল ‘‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে। এভাবেই নিজের বীর সন্তানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল লেহ–র ‘‌সোনামলিং টিবেটিয়ান রিফিউজি সেটেলমেন্ট’‌ এলাকার তিব্বতি সম্প্রদায়ের সমস্ত মানু্ষ। ‌

[আরও পড়ুন:‌ মোদির গুজরাটকে অপমান! আহমেদাবাদকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বলে বিপাকে সঞ্জয় রাউত]

জানা গিয়েছে, ৫১ বছর বয়সি তেনজিং ভারতের স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের ৭ বিকাশ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি লিডার ছিলেন। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সদস্যরা। এরা প্রত্যেকেই তিব্বতি। যাঁরা কি না চিনের হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন–ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। এটি ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব সিকিউরিটির অন্তর্গত। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারত–চিন দু’‌দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, বহু বছর পর এই জওয়ানদের সেখানে মোতায়েন করেছে ভারত। এঁদেরই একজন হলেন নাইমা তেনজিং। সম্প্রতি প্যাংগং লেকের পাড়ে ফের একবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনা সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তত্‍পরতায় লালফৌজের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। সেখানেই চিনের সেনার পোঁতা একটি বোমা বিস্ফোরণে কয়েকদিন আগেই শহিদ হয়েছিলেন নাইমা। আহত হয়েছিলেন আরও এক জওয়ান। তবে তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‌ শিক্ষানীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদির]

এর আগে গালোয়ান ভ্যালির মতোই ২৯ আগস্ট রাতে বেশ বড় সংখ্যক চিনা সেনাই একসঙ্গে ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। কিন্তু গালওয়ানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৈরি ছিল ভারতও। প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় সেনাও সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে চিনা সৈনিকদের বাধা দেন। আগের বার ভারতীয় জওয়ানরা সংখ্যায় কম থাকায় আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছিল চিন। কিন্তু এবার ভারত পালটা দিলে, আর এগোতে পারেনি লাল ফৌজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রাণ হারালেন তেনজিন। এদিকে, শহিদ জওয়ানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসতেই চারিদিকে, ‘‌ভারত মাতা কি জয়’‌ স্লোগান উঠতে থাকে। অনেকেই শেষবার তেনজিনকে চোখের দেখা দেখতে আসেন।

Advertisement

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ