Advertisement
Advertisement

ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’-য় বিধ্বস্ত তামিলনাড়ু, উদ্ধারকাজে নামল নৌসেনা

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

Navy in cyclone Gaja hit Tamil Nadu
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 17, 2018 3:31 pm
  • Updated:November 17, 2018 9:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুতে উদ্ধারকাজে নামল ভারতীয় নৌসেনা। শনিবার উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে যোগ দেয় নৌসেনার জওয়ানরা। নাগাপট্টনম এলাকার রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজও।

ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’-র প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূল অঞ্চল। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য চেতলাল ও চেরিয়াম নামে দু’টি জাহাজ নামানো হয়েছে। কারাইকাল এলাকায় ইতিমধ্যেই জাহাজগুলি পৌঁছে গিয়েছে। তবে শুধু উদ্ধারকাজ নয়, ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্যও এই জাহাজগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে খবর। এর সাহায্যে বিভিন্ন জায়গায় খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

এবার ‘রামরাজ্য’-এর দাবিতে সরব আরএসএস প্রধান ]

Advertisement

দু’টি জাহাজ ছাড়া উদ্ধারকাজের জন্য নামানো হয়েছে একটি হেলিকপ্টারও। আইএনএস পারুন্দু থেকে সেটি ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলির দিকে রওনা হয়েছে। এর সাহায্যে রমানাথপুরম এলাকায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আরাক্কোনামের কাছে ভারতীয় নৌসেনার একটি বিমান রয়েছে। উদ্ধারকাজ বা ত্রাণের সময় দরকার পড়লে যাতে সাহায্য আসে, তাই এটি রাখা হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘গাজা’। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর ও কাডালোর। প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টির দাপটে তছনছ নাগাপট্টিনাম, তিরুভারুর এবং তাঞ্জাভোর৷ শনিবার সকাল পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে৷ ঘরছাড়া প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ। ঝড়ের দাপটে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি৷ কোথাও কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ৷ ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুড্ডালোর, নাগাপট্টনম, পুডুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর, রামনাথপুরম ও তিরুভারুর জেলায় ৪৭৭টি শিবির তৈরি করা হয়েছে। ‘গাজা’ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

চলে গেলেন ভারতীয় বিজ্ঞাপনের প্রাণপুরুষ অ্যালেক পদমসি ]

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া গুরুতর আহতদের এক লক্ষ ও একটু কম যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ