Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাক জঙ্গিদের খতম করতে সেনাবাহিনী ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব

মোদির সফরেও কেন রক্তাক্ত কাশ্মীর, গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

Need revival of Indian Intelligence to curb terrorism: Defence Experts
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 3, 2017 3:28 am
  • Updated:December 21, 2019 2:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন সীমান্তে কেন জওয়ানদের প্রাণের আহুতি দিতে হবে? কেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জঙ্গিদের প্রতিটি পদক্ষেপের আগাম খবর পাবেন না? পাকিস্তানের টাকায় যদি জঙ্গিরা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র-সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম হাতে পায়, তাহলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বা নিরাপত্তারক্ষীরাই বা কেন সেই সব হামলা প্রতিহত করতে পারবেন না? কাশ্মীরে আরও এক আধাসেনা শহিদ হওয়ার পর এই প্রশ্নগুলোই তুলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

[কাশ্মীরি যুবকদের ‘টেররিজম’ ছেড়ে ‘ট্যুরিজম’ বাছার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]

ভারতে জঙ্গি নাশকতার বাড়বাড়ন্ত রুখতে সেনাবাহিনী ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আর একটু তৎপর হলে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের নওহট্টে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় এক সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হতেন না। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে নিজেদের কলাকৌশল আমূল পাল্টে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রেরও উচিত গোয়েন্দা, গুপ্তচর ও জঙ্গিদমন বাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি তুলে দেওয়া, দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা এও বলছেন, পাকিস্তানের প্রতিও ‘নরম’ মনোভাব ভারতকে পাল্টাতে হবে।

Advertisement

প্রাক্তন ডিফেন্স এক্সপার্ট উইংস কমান্ডার প্রফুল্ল বক্সি সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “জঙ্গিদের হামলার খবর কেন আগাম পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রস্তুতিতে কোথাও একটা খামতি থেকে যাচ্ছে। ইন্টেলিজেন্স সেভাবে পারফর্ম করতে পারছে না।” তিনি আরও বলেন, “দিনের পর দিন সেনা জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন। কাশ্মীরের প্রতিদিন পাকিস্তানের হামলা লেগেই রয়েছে। গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ।”

একই মতামত আরেক প্রাক্তন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল পি কে সেহগালেরও। তিনি বলছেন, “এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর লাগামহীন হওয়া দরকার। কারণ এমনটা না করলে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের দিক থেকে হামলার তীব্রতা আরও বাড়বে।” সেহগাল আরও বলছেন, “অবিলম্বে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নবাদীদের গ্রেপ্তার করা উচিত। তাতে এখন ডামাডোল তৈরি হলেও দূরপাল্লায় ভারতেরই লাভ।” নওহট্টে গ্রেনেড হামলায় সাত পুলিশকর্মী ও চার সিআরপিএফ জওয়ান আহতও হয়েছেন। সম্প্রতি এরকম তীব্র হামলা হয়নি ভূস্বর্গে। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেনানি-নাশরি টানেলের উদ্বোধন করতে সেখানেই রয়েছেন। এই ঘটনাকেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা বলে তোপ দেগেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

[খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ প্রায় ৪০০ জন সিআরপিএফ জওয়ান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ