সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষায় বসতে হলে খুলে রাখতে হবে অন্তর্বাস! শুনে তাজ্জব কিশোরী। কিন্তু নিয়মের গেরোতে তাইই করতে হল শেষমেশ। রবিবার ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা এনইইটি-তে বসতে এমনই হেনস্তার মুখে পড়তে হল ছাত্রীকে।
[ স্বামীকেই তিন তালাক দিতে চান এই মুসলিম মহিলা ]
পরীক্ষায় কারচুপি রুখতে পরীক্ষার্থীদের উপর পোশাকবিধি আরোপ করা হয়েছিল। সেখানে ছাত্রীদের জন্য হাফ হাতা, হালকা রঙের পোশাকের কথাই জানানো হয়েছিল। কোনওরকম ব্যাজ, ব্রুচ, বড় বোতাম ও ফুল যেন না থাকে তাও জানানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ধাতব জিনিসের উপরও। এই নিয়মের গেরোতেই পড়ে এক ছাত্রী। প্রথমে তাকে গাঢ় রঙের প্যান্ট পাল্টানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ ছিল। তাও খুঁজেপেতে হালকা রঙের প্যান্ট কিনে পরে নেয় কিশোরী। কিন্তু এরপরেই ঘোর সমস্যা। মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে বলা হলে, ডিটেক্টর জানিয়ে দেয়, কিশোরীর শরীরে ধাতব বস্তু আছে। জিজ্ঞাসা করা হলে, কিশোরী জানায় তার অন্তর্বাসের হুকটি ধাতব। এই বলেও অবশ্য ছাড় মেলেনি। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে অন্তর্বাস খুলতে নির্দেশ দেয়। তখন পরীক্ষা শুরু হতে মাত্র দশ মিনিট বাকি। পরীক্ষায় বসতে গেলে এছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ওই কিশোরীর কাছে।
[ দুর্ঘটনার আগে মদ্যপান করেছিলেন বিক্রম, জোরদার হচ্ছে দাবি ]
কেরলের কান্নুর জেলার কোভাপ্পুরমের এক স্কুলের এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই কিশোরীর মা। তাঁর দাবি, অন্তর্বাস সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকাই ছিল না। ধাতব বস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে কারণে কোনও পরীক্ষার্থীকে অন্তর্বাস কী করে খুলতে বলা হয়? তাঁর দাবি, অনেক অন্তর্বাসেই প্লাস্টিকের হুক থাকে। কিন্তু দামী অন্তর্বাসে সাধারণত ধাতব হুকই থাকে। তাঁর মেয়ে এই ধরনের অন্তর্বাসই পরেছিল। তাঁর আরও দাবি যে, শুধু তাঁর মেয়ে একা নয়, আরও অনেকেই এই হেনস্তার শিকার হয়েছে। তবে কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। ওই মহিলার আক্ষেপ, পরীক্ষার দশ মিনিট আগে কোনও মেয়েকে অন্তর্বাস খুলতে বললে তার মানসিক অবস্থা কী হবে বোঝাই যাচ্ছে। এরপর সে আর কী করে ভাল পরীক্ষা দেবে!
[ সুসন্তান লাভের গোপন রহস্য বাতলে দিচ্ছে আরএসএসের শাখা সংগঠন ]
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা আছে, যদি মেটাল ডিটেক্টর আওয়াজ করে তবে কাউকে যেন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া হয়। সেই নির্দেশিকাই অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বাসের হুক তাতে বাড়তি জটিলতার সৃষ্টি করেছে। একদিকে মানবিক হয়ে অভিভাবকের দাবি, এই ক্ষেত্রে অন্তত পরীক্ষার্থীকে ছাড় দেওয়া উচিত। অন্যদিকে নিয়মের কড়া গেরোয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি বিন্দু কৃষ্ণা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.