Advertisement
Advertisement

পণের জন্য বিয়ের রাতেই বধূকে ধর্ষণ স্বামী-দেওরের

রাতভর রক্তক্ষরণে শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি৷

New bride has been raped by husband,brother-in-law

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 17, 2019 8:22 pm
  • Updated:March 17, 2019 8:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণ এবং আরও পণ চাই৷ বরপক্ষের এই দাবি মেটাতে পারেনি পাত্রীর পরিবার৷ তবে বিয়েটা হয়েছিল৷ আর তার শাস্তি হিসেবে বিয়ের রাতেই যা হল, তাতে ফের সমাজে নারীর সম্মান ভূলুন্ঠিত হল৷

চলতি মাসের গোড়ায় মুজাফ্ফরনগরের এক পরিবারের বিয়ে হয় বছর ছাব্বিশের তরুণীর৷ বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়েই পণের দাবিতে দুই পরিবারের মধ্যে খানিক বাদানুবাদ হয়৷ অবশেষে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাওয়ার উভয়েই একত্রে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়৷ কিন্তু বিয়ের রাতেই মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার হন ওই তরুণী৷ স্বামী এবং দেওর একযোগে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷

Advertisement

টুইটারে নাম বদলের হিড়িক বিজেপি নেতাদের মধ্যে, কেন জানেন?

তরুণীর পরিবার সূত্রে খবর, ওই রাতে মদ্যপ অবস্থাকে মেয়েটিকে দুজনে মিলে ধর্ষণ করার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে, ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে বেরিয়ে যায়৷ সারারাত মেয়েটি ওইভাবেই পড়ে ছিলেন৷ সকালে দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেটা ছিল ৬ তারিখ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন৷ সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী৷ শারীরিক পরীক্ষায় তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷ পরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী এবং দেওরের৷ ওই রাতে তারা মদ্যপ ছিল বলে প্রমাণিত৷ তরুণীর দাদা জানিয়েছেন, ‘ওদের পরিবারের লোভ, চাহিদা এসব খুব বেশি৷ ওরা বারবার পণের জন্য চাপ দিচ্ছিল৷ কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাবে, এতটা আশঙ্কা করতে পারিনি৷’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী পারিকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি, গোয়া বাঁচাতে মরিয়া বিজেপি

পুলিশের তরফে পণপ্রথা বিরোধী আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ এসপি অলোক শর্মা বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷ কিন্তু এসবের পরও বিতর্ক থামছে না৷ এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে৷ যোগী আদিত্যনাথের আমলে সেই পরিস্থিতির এমন কিছু উন্নতি হয়নি বলে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ সেই অভিযোগের সারবত্তা যে যথেষ্ট, এই ঘটনাই তার প্রমাণ৷ তার উপর রয়েছে পণপ্রথার চাপ৷ আইনের ফাঁক গলে এখনও এই জঘন্য সামাজিক প্রথাটি বহাল তবিয়তে বর্তমান গোবলয়ে৷ হাজার কঠিন শাস্তিতেও হয়তো দ্রুত শুধরানো যাবে না৷    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ