সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনন্ত কুমারের পর কর্নাটক থেকে আরও এক অনন্ত এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তবে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সময় থেকেই অনন্ত হেগড়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। তিন ডাক্তারকে পিটিয়ে কয়েক মাস আগে তিনি শিরোনামে এসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার উসকানিমূলক মন্তব্যর অভিযোগ রয়েছে। এমন একজনকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি কী বার্তা দিতে চাইলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
[জানেন, প্রথম দিন নিজের মন্ত্রকে গিয়ে কী করলেন কেন্দ্রের এই নয়া মন্ত্রী?]
উত্তর কন্নড়ের পাঁচবারের সাংসদ অনন্ত হেগড়ে। সোমবার তিনি দক্ষতা বৃদ্ধি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে পুরনো অপরাধের জন্য তাঁকে সহজে ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা। তিন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে অনন্ত হেগড়ে ৬ মাসে দিল্লি ঢুকতে পারেননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হেগড়ে নিজের শহর সিরসিতে ৩ ডাক্তারকে পিটিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন। সিসিটিভি বন্দি এই তাণ্ডব টিভি চ্যানেলগুলির মাধ্যমে গোটা দেশ দেখেছিল। হেগড়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। ঘটনার কয়েক দিন পর জামিন পেলেও তাঁকে নিজের এলাকার বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে অবশ্য স্থানীয় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সময়মতো চার্জশিট দিতে না পারায় সংসদের কাজে যোগ দিতে পারেন ওই বিজেপি সাংসদ। হেগড়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্যর অভিযোগও রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন দুনিয়া থেকে মুসলমানদের সরিয়ে না দিলে শান্তি ফিরবে না। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। তবে প্রতিবারই তিনি দাবি করেন সব অভিযোগ মিথ্যা। মন্ত্রী হলেও পুরনো মামলা থেকে অবশ্য রেহাই মেলেনি অনন্ত হেগড়ের।
[৫ লক্ষেরও বেশি পাকিস্তানিকে ঘাড়ধাক্কা বিশ্বের ১৩৪টি দেশের!]
হালফিলের শুধুমাত্র এই দুটি ঘটনা নয়, হেগড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকাটা বেশ লম্বা। ১৯৯৩ সালে কর্নাটকের ভটকলে দাঙ্গার ঘটনায় তাঁর নাম রয়েছে সামনের সারিতে। সে বছর কর্নাটক বিধানসভায় অশান্তিতেও হেগড়ে অন্যতম অভিযুক্ত। কংগ্রেসের বক্তব্য, এইসব কার্যকলাপের মাধ্যমে সংঘ পরিবারের সুনজরে আসেন হেগড়ে। যার পুরস্কার হিসাবে লোকসভার টিকিট এবং মাত্র ২৫ বছরেই তিনি সাংসদ হন। অভিযোগ মেরুকরণের রাজনীতির জন্য হেগড়ে টানা পাঁচবার লোকসভার সদস্য হয়েছেন। মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়া হেগড়ের ব্যবসা রয়েছে। তবে এক সময় পেট্রল পাম্পে সামান্য কাজ করা অনন্ত হেগড়ে এখন বিজেপির অন্যতম উঠতি মুখ। কিছু দিন আগে একটি বই লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে ৩০০ খ্রিস্টানকে ঘর ওয়াপসি করানোর বিষয় নিজের কৃতিত্ব হিসাবে দেখেছিলেন অনন্ত। একসময় তাইকোন্ডোতে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া অনন্ত বিতর্ক সঙ্গী করেই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের নক আউট করে দিয়েছেন।