Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলপথে জঙ্গি রুখতে নয়া যুদ্ধজাহাজ

যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে কলকাতারই গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস৷

New ship for protect country from terror attack
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 25, 2016 10:27 am
  • Updated:November 25, 2016 10:27 am

অর্ণব আইচ: একদিকে চিন৷ অন্যদিকে পাকিস্তান৷ মাঝে ভারতের জল সীমান্ত৷ একাধিকবার পাকিস্তান থেকে দেশে অনুপ্রবেশ করেছে পাকিস্তানের জলযান৷ এবার জঙ্গি ও শত্রুদের অনুপ্রবেশ রুখতে জলে নামল নৌসেনার আরও একটি যুদ্ধজাহাজ৷ এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে কলকাতারই গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস৷

ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি নামে এই যুদ্ধজাহাজটি শুধু যে গভীর সমুদ্রেই টহল দেবে এমন নয়৷ জাহাজের নিচের অংশ প্রায় সমতল থাকায় অল্প জলেও ভাসতে পারে এই যুদ্ধজাহাজ৷ সমুদ্রতটের খুব কাছে চলে আসতে পারে এটি৷ ৬৩ মিটার লম্বা ও ১১ মিটার চওড়া এই যুদ্ধজাহাজটির গতি ১৫ নটিক্যাল মাইল৷ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা ও বিশেষ অভিযানের জন্য এই জাহাজ নৌসেনার সঙ্গে সঙ্গে বহন করবে সেনাবাহিনীকেও৷ একসঙ্গে ১৬০ জন সেনা জাহাজ থেকে নামতে পারবে তটে৷ একইসঙ্গে যুদ্ধের অস্ত্র, দু’টি ট্যাঙ্ক অথবা চারটি ভারী গাড়িও এই জাহাজে বহন করা সম্ভব৷ সেগুলিও সরাসরি জাহাজ থেকে নেমে যাবে তটে৷ এই জাহাজে থাকছে দু’টি ৩০ এমএম সিআরএন-৯১ বন্দুক৷ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেগুলিও ব্যবহার করা যাবে৷ ফলে সেনা ও নৌসেনা একসঙ্গেই মোকাবিলা করতে পারবে জঙ্গি ও শত্রুদের৷ এছাড়াও আন্দামান ও নিকোবরের নিরাপত্তার জন্য বঙ্গোপসাগর এবং লাক্ষাদ্বীপের নিরাপত্তার জন্য আরব সাগরে টহল দেবে এই জাহাজ৷

Advertisement

বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস-এর তৈরি সপ্তম ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি’ যুদ্ধজাহাজের সূচনা অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. সুভাষ রামরাও ভামরে৷ এদিন ভামরে বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আমি গর্বিত৷ যে কোনও অবস্থার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী৷” পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিই বজায় রাখতে চাই৷ কিন্তু কোনও হামলা বা আক্রমণ হলে আমরাও পাল্টা জবাব দেব৷” উপকূল রক্ষার জন্য নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীও সারা দিনরাত নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানান ভামরে৷ জিআরএসই-র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এ কে ভার্মা জানান, কলকাতার এই আন্তর্জাতিক মানের যুদ্ধজাহাজ কারখানা আটটি ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি’ বা এলসিইউ যুদ্ধজাহাজ তৈরির দায়িত্ব নেয়৷ এদিন এই ধরনের সপ্তম যুদ্ধজাহাজটি নামল জলে৷ জানা গিয়েছে, এখনও এই জাহাজের কিছু কাজ বাকি রয়েছে৷ সেই কাজগুলি শেষ হওয়ার পরই নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে এই যুদ্ধজাহাজ৷

Advertisement

এদিন এই যুদ্ধজাহাজ সূচনা করেন প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী ডা. বীণা ভামরে৷ উপস্থিত ছিলেন জিআরএসই ও নৌসেনার কর্তারা৷ ইতিমধ্যেই জিআরএসই ৯৮টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে৷ পরপর চার বছর পুরস্কারও পেয়েছে৷ এই অর্থনৈতিক বছরের মধ্যে মোট ১০০টি যুদ্ধজাহাজ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা জিআরএসই কর্তাদের৷ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে খবর পাচারের অভিযোগে এই যুদ্ধজাহাজ কারখানার এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ এর পর থেকে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিআরএসই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ