Advertisement
Advertisement

Breaking News

সম্পাদকীয় কলাম ফাঁকা রেখেই শ্রদ্ধা ত্রিপুরায় নিহত সাংবাদিককে

প্রতিবাদে একজোট সংবাদমাধ্যমগুলি।

Newspapers in Tripura leave the space for editorials blank in protest against killing of journalist Sudip Datta Bhowmik
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 23, 2017 10:53 am
  • Updated:September 22, 2019 7:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই সংবাদের শিরোনামে। শান্তনু ভৌমিকের পর সুদীপ দত্ত ভৌমিক। ফের সাংবাদিক হত্যা ত্রিপুরায়। প্রতিবাদে সম্পাদকীয় কলাম ফাঁকা রাখল সে রাজ্যের শীর্ষ সংবাদপত্রগুলি।

ইলেকট্রিক শক দিয়েই স্বীকারোক্তি আদায় পুলিশের, প্রদ্যুম্ন কাণ্ডে বিস্ফোরক কন্ডাক্টর ]

Advertisement

কিছুদিন আগেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন শান্তনু ভৌমিক। তবে সেবার অভিযোগের তির আইপিএফটি সমর্থকদের দিকে। এবার সাংবাদিক হত্যায় ট্রিগারে হাত খোদ পুলিশের। জানা যাচ্ছে, খবর দেওয়ার নাম করেই সুদীপকে ডাকেন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের দ্বিতীয় বাহিনীর কমান্ডার তপন দেববর্মা। এর আগেও বেশ কয়েকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস করেছিলেন তিনি। নতুন খবরের প্রত্যাশাতেই সেখানে ছুটে যান ক্রাইম বিভাগের ওই সিনিয়র সাংবাদিক।  তাঁকে গোপন খবর দেওয়ার নাম করে ডেকে নেওয়া হয় কমান্ডারের নিজস্ব ঘরে। সেখানেই চলে হত্যালীলা। নিজের অফিসঘরে ডেকে তাঁকে গুলি করে মারার নির্দেশ দেন কমান্ডার। গুলি করেন নিরাপত্তা রক্ষী নন্দকুমার রিয়াং। গুলির শব্দ শুনে ক্যাম্পের অন্যান্যরা ছুটে আসেন। নিরাপত্তারক্ষীর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সুদীপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনেক দেরিতে। ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ‘স্যন্দন’ নামে যে পত্রিকায় ওই সাংবাদিক কাজ করতেন, তাঁর সম্পাদক সুবলকুমার দেবের অভিযোগ ছিল, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরের কেলেঙ্কারি ফাঁস করারই মাশুল দিতে হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে। আর সুদীপবাবুকে সম্মান জানাতে অভিনব পদক্ষেপ ত্রিপুরার শীর্ষ সংবাদপত্রগুলির। ‘স্যন্দন’ পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম কালো রাখা হয়েছে। প্রতিবাদে শামিল ‘ত্রিপুরা দর্পণ’, ‘দৈনিক সংবাদ’-এর মতো সংবাদপত্রগুলি। কোনওটির সম্পাদকীয় কলাম কালো, কোনওটিরই বা সাদা করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্র যে ত্রিপুরায় সুরক্ষিত নয়, পরপর সাংবাদিক হত্যাতেই তা প্রমাণিত হয়েছে। এবার সম্পাদকীয় কলাম ফাঁকা রেখেই প্রতিবাদে একজোট সংবাদমাধ্যমগুলি।

পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত হবে রানি পদ্মাবতীর জীবনী, শিবরাজের নিদান ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ