Advertisement
Advertisement

আধার দেখাতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু কার্গিল শহিদের স্ত্রীর

এই অপমানই প্রাপ্য?

No Aadhaar no treatment, hospital apathy kills Kargil martyr’s wife
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 30, 2017 8:04 am
  • Updated:December 30, 2017 8:04 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী যতদিন বেঁচেছিলেন দেশের জন্য লড়ে গিয়েছেন। কার্গিল যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু স্ত্রীর কাছে ছিল না আধার কার্ড। সচিত্র পরিচয় দিতে পারলেন না অসুস্থ মহিলা। তাই হল না চিকিৎসা। বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শহিদের স্ত্রী। হরিয়ানার সোনপতের এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল।

[মুম্বইয়ের অগ্নিকাণ্ডের জন্য জনবিস্ফোরণকে দায়ী করে বিতর্কে হেমা মালিনী]

Advertisement

অভিযোগ তুলেছেন মৃত শকুন্তলাদেবীর পুত্র পবন কুমার। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন তাঁর বাবা লক্ষ্মণ দাস। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে পবন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাঁর মা। শুক্রবারের রাতে শরীর একটু বেশিই খারাপ হয়ে যায়। সোনপতের ওই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান পবন। কিন্তু তাড়াহুড়োতে শকুন্তলাদেবীর আধার কার্ডটি নিয়ে যান তিনি। ভর্তির সময় হাসপাতালের পক্ষ থেকে আধার চাওয়া হয়। পবন জানান তিনি কার্ডটি আনতে ভুলে গিয়েছেন। এক ঘণ্টার মধ্যে তা এনে দেবেন। আপাতত মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু হাসপাতালের পক্ষ থেকে আধার ছাড়া চিকিৎসা শুরু করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পবন জানান, তাঁর বাবা কার্গিল যুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। ফোনে তিনি আধারের কপিও দেখান। তা দেখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

[মাদ্রাসায় যৌন নিগ্রহ, পুলিশি অভিযানে রক্ষা পেল নাবালিকারা]

শহিদের স্ত্রীর কি এই অপমানই প্রাপ্য? প্রশ্ন তোলেন মৃতার পুত্র। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।

হাসাপাতালের পক্ষ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে, এমন কোনও রোগীই হাসপাতালে আনা হয়নি। সচিত্র পরিচয়পত্র হিসেবে আধার প্রয়োজন, তবে এর জন্য হাসাপাতালে কারও চিকিৎসা আটকে রাখা হয় না বলেই দাবি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

[মহিলাকে কনস্টেবলকে চড় কংগ্রেস বিধায়কের, জুটল পালটা থাপ্পড়ও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement