সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পর এবার নজর সম্পত্তিতে। আধার ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পত্তির নথির সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ। আগামি ১৫ই আগস্টের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে কাজ। এই মর্মে নাকি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত এই খবরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই নিয়ে গুজবও ছড়ায়। তবে এবার আসরে নেমেছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এদিন পিআইবির পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই।
A police complaint has been filed and the matter is being investigated. https://t.co/4VHBw8u3KY
— Frank Noronha (@DG_PIB) June 19, 2017
গোটা ঘটনার সূত্রপাত যখন একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। ভারতকে ‘ডিজিটাল ইণ্ডিয়া’ বানানোর লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে এই পদক্ষেপ বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। জোর দেওয়া হয়, বেনামী সম্পত্তির খতিয়ানের ব্যাপারেও। সম্পত্তির তথ্য সংরক্ষণে স্বচ্ছতা আসবে বলেও মতামত দেওয়া হয়। সম্পত্তির সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সম্পত্তির মালিক কে, তা পরিষ্কার হবে। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও, আধার নম্বরের মাধ্যমেই জানা যাবে সম্পত্তির আসল মালিকের নাম। তবে কোনও সম্পত্তির একাধিক মালিক থাকলে, কার আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ হবে, এবং সেক্ষেত্রে বাকি মালিকদের চিহ্নিত কিভাবে করা যাবে, তার কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল না এই চিঠিতে। তবে বলা হয়, সারা দেশে চাষের ক্ষেত্রে বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে সাহায্য করবে আধার নম্বর। জমির তথ্য নথিভুক্তকরণে আধার নম্বরের সংযুক্তি গোটা দেশেই কার্যকরী ভূমিকা নেবে।
The letter attributed to Cabinet Secretariat on #Aadhaar linking to Land records,is completely fake & mischievous pic.twitter.com/qbk6TsyiII
— Frank Noronha (@DG_PIB) June 19, 2017
বিভ্রান্তি আরও ছড়ায় যখন জানা যায় যে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও। এর পাশাপাশি, চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, যেসব সম্পত্তি ১৯৫০ সাল বা তার পরে কেনা বা বিক্রি করা হয়েছে, তার উপরই এই নিয়ম লাগু হবে। এই প্রক্রিয়া চলতি বছরের ১৪ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানানো হয়। যে সম্পত্তির খতিয়ানে আধারের সংযুক্তি থাকবে না, সেই সম্পত্তি বেনামী বলে ঘোষণা করার অধিকার সরকারের থাকবে।
তবে পিআইবির মুখপাত্র এদিন টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা ঘটনাই মিথ্যে। কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। চিঠিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করেছে পিআইবি।