Advertisement
Advertisement

Breaking News

Amit Shah

‘আমাদের ভূখণ্ড দখলের ক্ষমতা নেই কারও’, অরুণাচল সফরে চিনকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহর

ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না, হুঙ্কার শাহর।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 10, 2023 6:59 pm
  • Updated:April 10, 2023 7:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) আপত্তি উড়িয়ে বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সোমবার বেজিংয়ের উদ্দেশে হুঙ্কার দেন তিনি। বলেন, “ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না। কেউ আমাদের সূচ্যগ্র ভূমিও দখল করতে পারবে না।” দু’দিনের সফরে চিন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প উদ্বোধনে করেন শাহ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে, নাম করে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে একাধিক সীমান্ত রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির উন্নতিকল্পে “ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম”-এ ৪,৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ২,৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে সড়ক উন্নয়নে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৫-২৬ দুই পর্বে প্রকল্প রূপায়ণের সময়সীমা ধার্য হয়েছে। এই সূত্রেই অরুণাচল, সিকিম, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের ১৯টি জেলার ৪৬টি ব্লকের ২৯৬৭টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত চিন সীমান্ত সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই কেন্দ্রের লক্ষ্য। সেই সূত্রেই অমিত শাহ’র অরুণাচল সফর। প্রথম দিন অরুণাচলের আনজাও জেলার সীমান্ত গ্রাম কিবিথুতে “ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম”-এর সূচনা করেন শাহ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পেগাসাস অতীত, এবার আড়ি পাততে ৯৮৬ কোটি খরচে সফটওয়্যার কিনছে কেন্দ্র! বিস্ফোরক কংগ্রেস]

এদিন শাহ বলেন, “২০১৪ সালের আগে সমগ্র উত্তর-পূর্ব একটি অশান্ত অঞ্চল হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘লুক ইস্ট’ নীতির কারণে উত্তর-পূর্বকে এখন এমন এক অঞ্চল, যা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।” নিজের বক্তব্যে ইন্দো-তিব্বত পুলিশ এবং সেনার ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “পুরো দেশ আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারে, কারণ আমাদের আইটিবিপি জওয়ান এবং সেনাবাহিনী সীমান্তে দিনরাত কাজ করছে। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের দিকে খারাপ নজর দেওয়ার ক্ষমতা নেই কারও।” আরও বলেন, “আমি সমস্ত জওয়ানের আত্মত্যাগকে সালাম জানাই। ১৯৬২ সালে যারা জমি দখল করতে এসেছিল, জওয়ানদের দেশপ্রেমের কারণে তাদের ফিরে যেতে হয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিনের সিভিল অ‌্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘ওই অঞ্চলটি (অরুণাচল) তিব্বতেরই দক্ষিণের ঝানগান প্রদেশের অংশ।’ তৃতীয় পর্বে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি অঞ্চলের নামকরণও করেছে চিন। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি ভূমি অঞ্চল, দু’টি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ এবং দু’টি নদী। যার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে টুইট করা হয়েছিল, “আমরা গোটা বিষয়ে অবগত। চিন আগেও এই কাজ করেছে। এমন পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করছি। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নামকরণের প্রচেষ্টা বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ