সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসার জন্য সব কিছু করা যায়। বিপাকে পড়লে জন্মদাতা বাবাকেও মেরে ফেলা যায়। তেমনই করে দেখাল নয়ডার যুবতী। প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে চারতলার সিঁড়ি থেকে বাবাকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল ওই যুবতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ। এই ঘটনায় মেয়ে পূজা ও তার প্রেমিক ধর্মেন্দ্রর বিরুদ্ধে নয়ডা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বনাথের স্ত্রী গায়ত্রীদেবী। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পূজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
[পার্লামেন্টের মধ্যে নীলছবিতে মগ্ন ব্রিটিশ সাংসদরা, বিড়ম্বনায় প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে]
রবিবার ভোর চারটে নাগাদ বচসার আঁচ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় বিশ্বনাথবাবুর। মেয়ে পূজার ঘরের দিক থেকেই আওয়াজ আসছিল। সোজাসুজি মেয়ের ঘরের বন্ধ দরজাতেই ধাক্কা দেন। দরজাটি ভেজানো ছিল। খুলতেই অপরিচিত যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই ওই যুবকের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজন দুজনকে আক্রমণ করেন। এভাবেই এক সময় দুজনেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে একসময় বাবাকেই চারতলার সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দেয় পূজা। উচুঁ থেকে পড়ার জেরে মারাত্মকভাবে জখম হন বিশ্বনাথবাবু। গোটা দেহেই আঘাত লাগে।
এদিকে গোলমালের শব্দ পেয়ে জেগে যান গায়ত্রীদেবী। ঘরের বাইরে এসে দেখেন বিশ্বনাথবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিশ্বনাথবাবুর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিশ্বনাথবাবুর। এরপরই মেয়ে ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গায়ত্রীদেবী।
[সন্ত্রাসদমন অভিযান অব্যাহত উপত্যকায়, সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি]