Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভগৎ সিং বামপন্থী না রাষ্ট্রবাদী, প্রশ্নে তোলপাড় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়

জোর তরজা এসএফএস ও এবিভিপির।

Now ABVP-SFS fight over Bhagat Singh’s legacy
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 3, 2017 9:19 am
  • Updated:September 29, 2019 6:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন কিংবা পড়ুয়াদের দাবি আদায়ে আন্দোলন। এসব গৌণ বিষয়। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হঠাৎ করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন ভগৎ সিং। তিনি মার্কসবাদী না রাষ্ট্রবাদী? এই প্রশ্নে তরজায় মেতেছে দ্য স্টুডেন্ট ফর সোসাইটি বা এসএফএস ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি।

[রাজীব গান্ধী নয়, ভগৎ সিংয়ের নামে স্টেডিয়াম নামকরণের ভাবনা হরিয়ানায়]

Advertisement

সামনেই পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন জোরকদমে প্রচারে নেমেছে এসএফএস ও এবিভিপি। নিজেদের প্রার্থীর সমর্থনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে পোস্টার দিয়েছে দু’পক্ষই। কিন্তু, এসএফএস-র একটি পোস্টারকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। পোস্টারে  ভগৎ সিংয়ের ছবি ও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে পালটা প্রচারে নেমেছে এবিভিপির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, মার্কসবাদী নন, ভগৎ সিং রাষ্ট্রবাদী নেতা ছিলেন। দেশকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তিনি। বস্তুত, নিজেদের দাবির সমর্থনে শনিবার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি নাটকও করেন এবিভিপির কর্মী-সমর্থকরা। নাটকে দেখানো হয়, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে  ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান শুনে অবাক হয়ে গিয়েছেন ভগৎ সিং। নিজের দুই সঙ্গী রাজগুরু ও সুখদেবকে, ভগৎ সিং বলছেন, এই ভারতের স্বপ্ন তিনি দেখেননি। যদিও স্টুডেন্ট ফর সোসাইটি বা এসএফএ-এর হরমন সিংয়ের দাবি, ভগৎ সিংয়ের লেখা বিভিন্ন বই পড়লেই বোঝা যায়, মার্কস ও লেনিনের চিন্তাধারায় গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে পড়াশোনা করেননি এবিভিপির সমর্থকরা। শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য ভগৎ সিংয়ের নাম ব্যবহার করতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement

[চণ্ডীগড় বিমানবন্দর হোক শহিদ ভগৎ সিংয়ের নামে, উঠল দাবি]

অন্যদিকে ভগৎ সিংকে  নিয়ে এসএফএস ও এবিভিপির এই দড়ি টানাটানি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক বলেন, ভগৎ সিং যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে এই ঘটনায় তিনি খুশিও হতেন আবার দুঃখও পেতেন। খুশি হতেন, কারণ স্বাধীনতার সত্তর বছর পরও তাঁকেই আইকন বলে মনে করছে তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু, তাঁর আদর্শ নিয়ে যেভাবে দ্বিধাবিভক্ত আজকের প্রজন্ম, তাতেও নিঃসন্দেহে দুঃখও পেতেন ভগৎ সিং।

[পীর বাবার তেলেও অধরা পুত্রসন্তান, স্ত্রীকে তালাক স্বামীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ