Advertisement
Advertisement
Indus treaty

স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি, জলসংকটে হাহাকার করবে পাকিস্তান?

সিন্ধু চুক্তি বাতিলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে পড়বে দিল্লি?

Now Indus treaty on hold but when can India turn off Pakistan's tap completely?
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 26, 2025 8:14 pm
  • Updated:April 26, 2025 9:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না,” ২০১৬ সালে উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলা বাহুল্য সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়েই ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটককে হত্যার পর যে সাত দফা কূটনৈতিক ‘প্রত্যাঘাত’ করেছে ভারত। তার অন্যতম হল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা। কিন্তু প্রশ্ন হল, বাস্তবে কি নদীর জল আটকাতে পারে ভারত? এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন কোন সমস্যার মুখে পড়তে পারে দিল্লি? সবচেয়ে বড় কথা, ভারত সিন্ধু চুক্তি না মানলে কতটা অস্বস্তিতে পড়বে পাকিস্তান? 

ভৌগলিক কারণে পাকিস্তানকে জলতেষ্টায় মারতে পারে ভারত। অন্যতম কারণ ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ভারত-পাক সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নদীগুলি ভারতের দিক থেকেই পাকিস্তানে প্রবাহিত। চুক্তি অনুসারে, ভারতের নিয়ন্ত্রণে সিন্ধুর পূর্বের তিন উপনদী— বিপাশা (বিয়াস), শতদ্রু (সাটলেজ) এবং ইরাবতী (রাভি)-র জল। এছাড়া সিন্ধু ও তার দুই উপনদী বিতস্তা (ঝিলম), চন্দ্রভাগার (চেনাব) জলের উপর পাকিস্তানের অধিকার।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জল আটকাতে হলে প্রাথমিক ভাবে বাঁধ দিতে হবে ভারতকে। এছাড়াও দিল্লির পরিকল্পনা, সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগার উপরে বাঁধগুলি পলিমুক্ত করে জলাধারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানমুখী প্রবাহ কমবে। আরও একটি বিষয় হল নদীগুলির উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। পাকিস্তানি ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছে, বিতস্তার উপনদীর উপর তৈরি কিষেণগঙ্গা এবং চন্দ্রভাগার উপনদীর উপর নির্মীয়মাণ রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে জল আটকে দিচ্ছে ভারত।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগার উপর বাঁধের সংখ্যা বাড়িয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়াতে পারে দিল্লি। এভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত জল আটকে দেওয়া যায়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে বেশ কিছু কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। অতএব, ভারত চুক্তি ভঙ্গকারী কোনও পদক্ষেপ করলে পাকিস্তানের নালিশে আন্তর্জাতিক চাপ আসতে পারে দিল্লির উপরে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ইসলামাবাদ জানিয়ে দিয়েছে, সিন্ধুর জল বন্ধ করা হলে তা ‘যুদ্ধ’ হিসাবে দেখা হবে। আসলে চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু এবং তার উপনদীগুলির মোট জলের উপর পাকিস্তানের অধিকার প্রায় ৮০ শতাংশ। ভারত পায় মাত্র ২০ শতাংশ জল। সিন্ধুচুক্তির নদীগুলিই আসলে পাকিস্তানের জলভাণ্ডার। অতএব, এই স্বার্থসংঘাত বাস্তবেই যুদ্ধের সমান। ভারত বেঁকে বসলে প্রতিবেশী দেশটিতে জলের জন্য হাহাকার পড়ে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement