সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: “অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলে করোনা থেকে বাঁচা যায়। তাহলে পেটে অ্যালকোহল গেলে তো ভিতর থেকে লড়ার শক্তি পাওয়া যাবে।” গোটা দেশের মতো এই তত্ত্ব খাটে দিল্লিবাসীর ক্ষেত্রেও। হয়তো অন্য অনেক জায়গার থেকে কিছুটা বেশিই। তাই দাম বাড়িয়ে, বুঝিয়েও কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না সুরাপ্রেমীদের। আর তাই নতুন এক পন্থা নিয়ে এল দিল্লি সরকার।
এবার থেকে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কোনওরকম লাইন ছাড়াই পাওয়া যাবে মদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্তই নিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। https://www.qtoken.in ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের এলাকার দোকানে নির্দিষ্ট সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন দিল্লিবাসী। এর পর তাঁর ফোনে চলে আসবে কিউআর কোড-সহ একটি কুপন। নির্দিষ্ট সময়ে দোকানে গিয়ে মোবাইলে আসা সেই কুপন ও আইডেন্টিটি কার্ড দেখিয়ে লম্বা লাইন ছাড়াই মদ কেনা যাবে। এদিকে, এদিন থেকেই দিল্লিতে ই-কমার্স সাইটে মদের অনলাইন ডেলিভারি শুরু হয়েছে।
তৃতীয় পর্বের লকডাউন শুরুর পর থেকে মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। অনেক জায়গাতেই মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। কনটেইনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে সোমবার দিল্লিতে খুলেছিল সাড়ে ৪০০টি মদের দোকান। সবগুলিই স্ট্যান্ড অ্যালোন ও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত দোকান। ২ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবারই এই দোকানগুলির শাটার ওঠে। ফলে সুরাপ্রেমীদের ভিড় যে উপচে পড়বে, তা আন্দাজ করাই গিয়েছিল। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে কাসমের গেট, দেশ বন্ধু গুপ্ত রোড, ঝিল চক সর্বত্রই প্রায় এক অবস্থা। ভিড়ের চোটে ঝিলচকের একটি দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর মদের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতেও দমতে রাজি নয় সুরাপ্রেমীরা। এর ফলেই এই নতুন পন্থা নিল কেজরিওয়াল সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.