সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেরুয়া রংয়ের রাজনীতি অব্যাহত। হজ হাউস, বাসের পর এবার রাজ্যের শৌচাগারে গেরুয়া ছোপ। যা নিয়ে ফের বিতর্ক তুঙ্গে।
[ কাশ্মীরে মৃত জঙ্গিদের ‘ভাই’ সম্বোধন, বিতর্কে মেহবুবার দলের বিধায়ক ]
দিন কয়েক আগেই হজ হাউসকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। তা নিয়ে গেরুয়া রাজনীতির অভিযোগ ওঠে। পরে পালটা হিসেবে আবার তা সাদা রং করে দেওয়া হয়। সে রাজ্যের বাসিন্দারা সকলেই জানেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের পছন্দের রং গেরুয়া। তিনি নিজেও গেরুয়াধারী। আর তাই যত্রতত্র গেরুয়া রঙের ছোপ দিয়েই চলছে যোগীকে সন্তুষ্ট করার খেলা। পিছিয়ে নেই অমৃতপুর গ্রামও। সেখানে প্রায় শ-খানেক শৌচাগারকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। সেগুলি সবই স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের আওতায় তৈরি। কিন্তু কার সিদ্ধান্তে এই কাজ? গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কারও সিদ্ধান্ত এটি নয়। সকলেরই মিলিত সিদ্ধান্ত। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত, তার পিছনে কারণ আছে। মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ গেরুয়া রং। তাই গ্রামের শৌচাগারকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, এতেই বোঝা যাবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ও তাঁর দর্শনকে তাঁরা কতটা ভালবাসেন। আশা, এর প্রতিদান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের প্রতি সদয় হবেন। আরও উন্নতি হবে।
[ ১০০০ টাকা চুরির অপবাদে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করে তল্লাশি ]
চলতি মাসেই বিধানসভা ভবনের পাশেই হজ হাউসকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে অবশ্য হজ হাউসকে সাদা রং করে সে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এদিকে অভিনেতা প্রকাশ রাজ এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন। টুইটারে তাঁর ‘জাস্ট আস্কিং’ বেশ জনপ্রিয়। সরকার বিশেষত বিজেপির একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মশকরার ছলে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। এই রঙের রাজনীতির পর তাঁর প্রশ্ন ছিল, গেরুয়া রং করাই কি তাহলে বিকাশের লক্ষ্মণ? গুজরাট ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, যোগী আদিত্যনাথ বলে দিয়েছিলেন বিকাশ ছাড়া আর কোনও দ্বিতীয় লক্ষ্য নেই বিজেপির। তাঁর তাই প্রশ্ন, হজ হাউস বা শৌচাগারকে গেরুয়া রংয়ে রং করাও কি সেই উন্নতিরই স্মারক?
Is changing colour of a wall VIKAS….?? What about the farmers dumping potatoes in your front yard…#justasking pic.twitter.com/v1OOJfYPRd
— Prakash Raj (@prakashraaj) January 7, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.