Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘পশ্চিমী প্রভাব কাটিয়ে ভারতীয় পোশাক পরুন বিজেপি মন্ত্রীরা’

পরামর্শ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।

Now Subramanian Swamy suggests dress-code for BJP netas

ফাইল ফটো

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 26, 2017 1:42 pm
  • Updated:December 26, 2017 1:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমী পোশাক মানেই পাশ্চাত্যের প্রভাব। যেখানে দল জাতীয়তাবোধের উন্মেষ নিয়ে ব্যস্ত সেখানে দলের মন্ত্রীরাই কেন পশ্চিমী পোশাক পরবেন? বরং ভারতীয় জলহাওয়ায় উপযুক্ত এরকম পোশাকই পরুন। পরামর্শ বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।

জন্মদিনে ‘হ্যান্ডসাম’ রাহুলকে দেখার সাধ ছিল ১০৭ বছরের অনুরাগীর ]

Advertisement

বিজেপির সাম্প্রতিক কার্যাবলীতে স্বামী যে রুষ্ট তাঁর একাধিক টুইটেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। আর কে নগর উপনির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় ফলাফল হয়েছে। একটা সময় নোটার থেকে প্রায় এক চতুর্থাংশ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ। জানিয়েছিলেন, শাসকদলে থেকে যে দল নোটার থেকে কম ভোট পায়, তার এবার দায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। এরপর পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের জন্মদিন পালনে বিজেপি মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়ডার জনসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। অথচ সংসদে মালব্যর জন্মদিন পালনে বিজেপির কোনও মন্ত্রী হাজির ছিলেন না। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই টুইট করে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম এই পোশাক বিধি।

Advertisement

স্বামী জানান, ভারতবাসী এখনও ব্রিটিশ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। পশ্চিমী পোশাক পরা মানে সেই প্রভাবকেই স্বীকার করে নেওয়া। বিজেপি মন্ত্রীরা অন্তত তাই ভারতীয় পোশাকই পরুন। দলের তরফে এই অনুশাসন জারি করা হোক। আরও একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। জানান, সংবিধান  অনুযায়ী মদ নিষিদ্ধকরণের সংস্থান রয়েছে। কিন্তু আইন করে তা সম্ভব কিনা, তা তিনি নির্ধারণ করতে পারেন না। তবে বিজেপি এটি দলীয় অনুশাসনের অন্তর্ভুক্ত করুক, এমনটাই দাবি তাঁর।

এর আগে রাম মন্দির নিয়ে টুইট করে বিতর্কে এসেছিলেন স্বামী। বিচারাধীন বিষয় হলেও রাম মন্দির যে অযোধ্যাতে তৈরি হবে, তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলেছিলেন স্বামী। এমনকী পরের দিওয়ালি সেখানেই সেলিব্রেট করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কী করে একজন সাংসদ বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করেন, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই জেএনইউ-তে এক সেমিনারে তাঁর বক্তৃতা বাতিল করা হয়। স্বামী জানিয়েছিলেন, তাঁর মতামত যুবকদের প্রভাবিত করতে পারে বলে ভয় পেয়েছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠান বাতিলকে অসহিষ্ণুতা বলেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ।

কাচের ওপারে কুলভূষণ, এটাই কি মানবিকতা? পাকিস্তানকে তোপ শহিদ পরিবারের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ