Advertisement
Advertisement

সরকারি প্রকল্পে মেলেনি বাড়ি, শৌচাগারেই দিন গুজরান এই ব্যক্তির

স্বচ্ছ ভারত মিশনে মিলল মাথা গোঁজার আস্তানা!

Odisha: this man man  lives inside Swacch toilet
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 5, 2017 11:29 am
  • Updated:November 5, 2017 11:29 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  মোদির সরকারের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, স্বচ্ছ ভারতের মিশনের সুফল ভোগ করছেন ওড়িশার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা ছোটু রাওতিয়াও। শৌচাগার নয়, ছোটুর প্রয়োজন ছিল একটি বাড়ি। আর প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের দৌলতেই মাথা গোঁজার আস্তানা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

[জমানো খুচরো কয়েনে দিদিকে স্কুটি উপহার ১৩ বছরের কিশোরের]

Advertisement

ভাবছেন তো, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে তো বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে এই প্রকল্পে  আস্ত একটা বাড়ি কী করে বানিয়ে ফেললেন ছোটু?  ওড়িশার  সুন্দরগড় জেলার জালাদা গ্রামে থাকেন ছোটু রাওতিয়া। রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট তৈরির সময়ে আরও অনেকের মতোই এই আদিবাসি পরিবারটিকেও গৃহহীন হতে হয়েছিল। তবে রাউরকেল্লা স্টিল প্যান্টের জন্য যাঁরা জমি-বাড়ি হারিয়েছিলেন, তাঁদের অবশ্য পুনর্বাসনের জন্য জমি দিয়েছিল ওড়িশা সরকার। জমি পেয়েছিলেন ছোটুর বাবাও। সেই জমিতে বাড়িও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, কালের নিয়মে সেই বাড়ি এখন বেহাল। বসবাসের অযোগ্য। ছোটু রাওতিয়ার সেরকম কোনও রোজগার নেই। বিপিএল তালিকাভুক্ত হওয়ায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ছোটু রাওতিয়া বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি।’

Advertisement

[নজরে চিন, সিকিমে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে চালু পেট্রল পাম্প]

বস্তুত, গত ফ্রেরুয়ারি মাসে কয়েকজন পদস্থ সরকারি আধিকারিককেও নিজের দুরবস্থা কথা জানিয়েছেন ছোটু। কিন্তু, সরকারি কিছু নিয়মের কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তাঁকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় দরিদ্র এই আদিবাসী পরিবারটির পাশে দাঁড়ান স্থানীয় জালগা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাপুর ওরাম। তিনি জানিয়েছেন, ‘ সম্প্রতি এই ঘটনার কথা আমি জানতে পারি। আমিই ওকে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রকল্পে একটি শৌচাগার তৈরি করার পরামর্শ দিই।’ স্বচ্ছ ভারত মিশনের টাকায় তৈরি শৌচাগারেই এখন থাকেন ছোটু। আবহাওয়া ভাল থাকলে, বাইরে খোলা আকাশে নিচেই রাতটা কাটিয়ে দেন তিনি। আর যেদিন আবহাওয়া ভাল থাকে না, সেদিন রাতে শৌচাগারে শুয়ে পড়েন। আর শৌচকর্ম? শৌচাগারটাই তো ছোটুর ঘর। তাই খোলা  আকাশে নিচে শৌচকর্ম করা ছাড়া আর কীই বা উপায় আছে?

[রামদেবের উপস্থিতিতে রেকর্ডের তাগিদে তৈরি হল ৮০০ কেজি খিচুড়ি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ