Advertisement
Advertisement

বাহরিনের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চেক পেলেন ওডিশার দানা মাঝি

তিন মেয়ের লেখাপড়া এবং চাকরির জন্য ব্যবহার করবেন এই টাকা৷

Odisha tribal Dana Majhi who carried wife’s body gets Rs 9 lakh from Bahrain PM
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 16, 2016 11:49 am
  • Updated:September 16, 2016 11:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওডিশার কালাহান্ডির কৃষক দানা মাঝি৷ একটা সময় বহু কালো দিনের সাক্ষী৷ স্ত্রী’র মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুল্যান্স তো দূরের কথা, পাননি আরও তিনটি কাঁধের সাহায্য৷ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউই৷ অগত্যা তিনি নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন গোটা দায়িত্ব৷ স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন ১৩ কিলোমিটার পথ৷ সঙ্গে ছিল কেবল তাঁর কিশোরী মেয়ে৷ আর তাঁর এই শব বহনের দৃশ্যই যেন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে৷ দলিত কৃষকের এমন অবস্থা দেখে প্রশ্ন জেগেছিল মানবিকতা বোধ নিয়ে৷

এই ঘটনার পেরিয়েছে বেশ কিছুদিন৷ প্রচারের আলো পেয়ে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে দানা মাঝির জীবনে৷ একদিন যিনি স্ত্রীর শেষযাত্রায় সঙ্গে পাননি কাউকে, এখন তিনি বহু মানুষের সাহায্য পাচ্ছেন৷ সম্প্রতি বাহরিনের প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স খলিফা বিন সলমন আল খলিফার তরফ থেকে ৮.৯ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হল দানা মাঝির হাতে৷ দিল্লিতে বাহরিন দূতাবাসে গিয়ে সেই টাকা গ্রহণ করেন দানা মাঝি৷ জানিয়েছেন, এই টাকা সঞ্চিত রাখবেন তিনি৷ তিন মেয়ের লেখাপড়া এবং চাকরির জন্য ব্যবহার করবেন এই টাকা৷

Advertisement

শুধু বাহরিনের প্রধানমন্ত্রীই নন, কালাহান্ডির এই কৃষকের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন-সহ বহু সংস্থা এবং সহৃদয় ব্যক্তি৷ দানা মাঝির পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার তরফ থেকে ৭৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ২০,০০০ টাকা৷ এতেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্রের কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি মাঝির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন ৮০,০০০ টাকা৷ রেড ক্রসের তরফ থেকে তাঁদের দেওয়া হয়েছে ৫০,০০০ টাকা৷ দানা মাঝির পাশাপাশি, তাঁর তিন মেয়ের নামেও বহু সংস্থা টাকা পাঠাচ্ছে৷ তাঁদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে ওডিশা সরকার৷ সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে তারা৷

Advertisement

দানা মাঝি জানিয়েছেন, আগে কখনও লক্ষ টাকা চোখে দেখেননি তিনি৷ এত অভ্যর্থনা, এত পরিচিতির পরেও গ্রামেই থাকবেন তিনি৷ চাষ করবেন৷ এতকিছুর পরেও তাঁর আক্ষেপ কমেনি একটুও৷ তাঁর এই আচমকা ভাগ্য পরিবর্তনকে প্রতিবেশীরা ভাল চোখে দেখছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ