Advertisement
Advertisement

বিরোধীদের গরু-বানর বলে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, তুঙ্গে বিতর্ক

এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন হেগড়ে।

Opposition like crow, monkeys and foxes: Ananth Kumar Hegde
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 29, 2018 4:53 pm
  • Updated:June 29, 2018 4:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। শাসকদল বা বিরোধীদল, কেউ কাউকে সূচাগ্র মেদিনীও ছেড়ে দিতে রাজি নয়। দুই দলই প্রচার চালাচ্ছে জোরকদমে। শুরু হয়ে গিয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ির খেলাও। এরই মাঝে বিরোধীদের ‘গরু, বানর ও শেয়াল’ বলে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে।

একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ে বলেছেন, “একদিকে গরু, বানর, খেঁকশেয়াল একসঙ্গে রয়েছে। অন্যদিকে রয়েছে বাঘ। ২০১৯ সালে ভোট দিয়ে বাঘকে ক্ষমতায় আনুন।” তবে এখানেই নিজের বাক্যবাণ শেষ করেননি তিনি। দেশের উন্নতি যথেষ্ট পরিমাণে না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তোলেন হেগড়ে। বলেন, “আমরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে রয়েছি, তাই না? এগুলো হয়েছে কংগ্রেস শাসনের জন্য। ওরা আমাদের উপর ৭০ বছর ছড়ি ঘুরিয়েছে। নাহলে আপনারা রুপোর চেয়ারে বসতে পারতেন।”

Advertisement

মোদির বিদেশ সফরে খরচ ৩৫৫ কোটি টাকা, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ]

Advertisement

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার নিজের মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন অনন্তকুমার হেগড়ে। এবছর জানুয়ারি মাসে তিনি দলিত সম্প্রদায়কে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমরা খুব একগুঁয়ে। যখন রাস্তায় কুকুর চিৎকার করে, আমরা পাত্তা দিই না।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। ফলে একপ্রকার চাপে পড়েই পরে সাফাই গান তিনি। বলেন, তাঁর উক্তিটি দলিতদের নিয়ে ছিল না। বরং ‘সো-কলড আঁতেলদের’ নিয়ে ছিল। যারা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের উদ্দেশ্যেই এমন কথা বলেছিলেন তিনি।

কর্ণাটক নির্বাচনের সময়ও সমালোচনা হয়েছিল তাঁকে ঘিরে। ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ কর্ণাটক, উত্তর কর্ণাটকের মানুষ বিশুদ্ধ কন্নড় ভাষায় কথা বলতে পারেন। রাজ্যের বাকি অংশ এমনকী, মাইসুরু ও বেঙ্গালুরুর মানুষও বিশুদ্ধ কন্নড় বলতে পারেন না। নির্বাচনের আগে, প্রচারের সময় তাঁর এই উক্তি সমস্যায় ফেলেছিল বিজেপিকে।

‘যোগীকে সঙ্গে নিয়েই তাজমহল ভাঙতে যাব’, বিতর্কিত মন্তব্য মুসলিম নেতার ]

তার আগে, ডিসেম্বরে তিনি সরাসরি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেবার তিনি বলেছিলেন, যারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে জাহির করে, তাদের ‘নিজস্ব কোনও পরিচয় নেই’। যখন সময় আসবে বিজেপি দেশের সংবিধান বদলে দেবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ