সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত অসমের বহু অঞ্চল। প্রভাবিত শহর থেকে গ্রাম। কৃষিজমি-সহ জলের নীচে বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামি ২৪ ঘণ্টায় কোকরাঝার, চিরাং, বকসা, বরপেটা ও বঙ্গাইগাঁও-সহ একাধিক এলাকাতেও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, কাছার, দরং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, হোজাই, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি-সহ একাধিক জেলা মিলিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ জন মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। প্লাবিত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর জেলা। সেখানেই প্রায় ২৫ হাজারের উপর মানুষ বন্যায় প্রভাবিত। ডিব্রুগড় এবং তিনসুকিয়া জেলায় যথাক্রমে প্রভাবিত ৩ হাজার ৮০০ ও ২ হাজারা ৭০০ জন। প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনটি জেলার ১৬টি শিবিরে দুর্গতেরা আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ১৪২টি গ্রাম ও ১৫১০.৯৮হেক্টর চাষের এলাকা জলের নিচে চলে গিয়েছে।
বলে রাখা ভাল, গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অসমের জনজীবন। ভারী বৃষ্টির জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে ফলে বিপদ আরও বাড়বে। নিমাতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অন্যদিকে, কামপুরে কোপিলি নদীও বিপদসীমা পেরিয়েছে। সবমিলিয়ে, পরিস্থিতি জটিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.