সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সাঁড়াশি চাপে কোণঠাসা পাকিস্তান। সীমান্তে ভারতীয় সেনা ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক চাল। এই দুইয়ের যোগফলে নাস্তানাবুদ সন্ত্রাসের চারণভূমি। তাই এবার মরিয়া হয়ে ফের ভারতের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি জটিল করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘দু’টি ফ্রন্ট’ খুলেছে ভারত। শনিবার, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নাসির খান জানজুয়া।
[OMG! ১৮৬০ সালেও ব্যবহৃত হত স্মার্টফোন!]
এদিন জার্মানির রাষ্ট্রদূত মার্টিন কবলার ও আফগানিস্তান-পাকিস্তানের জন্য নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি মার্কাস পজেলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পাক ‘এনএসএ’ জানজুয়া। বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানায় এনএসএ দপ্তর। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে মুখ পুড়িয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমেছে ইসলামাবাদ। চলতি বছরের ব্রিকস সন্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাজেহাল হয় পাকিস্তান। এমনকি ওই দেশটির পাশে দাঁড়ায়নি ‘পরমবন্ধু’ চিনও। ফলে প্রবল চাপে পড়েছেন সে দেশের নীতিনির্ধারকরা।
আফগানিস্তানে নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান প্রভাবে অশনি সংকেত দেখছে ইসলামাবাদ। এদিন তারই প্রমাণ মিলল পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার বয়ানে। তাঁর বক্তব্য, “আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিচ্ছে ভারত। এছাড়াও কাশ্মীর সীমান্তে আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এভাবেই ‘দুটি ফ্রন্ট’ খুলে আমাদের বেকায়দায় ফেলতে চাইছে পড়শি দেশ। ফলে ধাক্কা খাচ্ছে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ শেষ করা যেতে পারে।”
উল্লেখ্য, সন্ত্রাস দমন নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ইসলামাবাদের তরফে জেহাদিদের আশ্রয় দেওয়ার পালা চলতে থাকলে ওয়াশিংটন যে তা বরদাস্ত করবে না, শুক্রবার তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি পদে মনোনীত জন সি রুড। মার্কিন পদক্ষেপ সত্ত্বেও আফগানিস্তানে যেভাবে পাক প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্য এবং সংখ্যা, দুই-ই বেড়ে চলেছে, তার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে রুড এই মন্তব্য করেছেন। জঙ্গিদমনে পাক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে রুড কার্যত ইসলামাবাদকে তুলোধোনা করেছেন।
[ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তেন এই শিক্ষিকা]