Advertisement
Advertisement

খুচরো সমস্যায় রেল কাউন্টার, ওষুধের দোকানে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার আমআদমি

রাতারাতি সোনার দাম এক ধাক্কায় ৪ হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে৷

people are not getting proper service from govt sectors
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 9, 2016 1:36 pm
  • Updated:November 9, 2016 1:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট কাগজে পরিণত হয়েছে৷ তার উপর বুধবার ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ থাকায় টাকা তোলা বা জমা করার কোনও উপায় নেই৷ কালো টাকা ও জাল নোট রুখতে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার৷ আর তাতেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ১১ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, রেল, পেট্রোল পাম্পের মতো বিশেষ কয়েকটি জায়গায় পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট গ্রহণ যোগ্য হবে৷ কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হচ্ছে কই? রেল কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন পড়েছে৷ প্রায় সবার হাতেই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট৷ খুচরো জোগাতে নাজেহাল রেলকর্মীরা৷ ফলে টিকিট দিতে রাজি হচ্ছেন না তাঁরা৷ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুব্ধ জনতার প্রশ্ন, “তবে কি টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠব?”

Advertisement

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলছেন, নগদ টাকা না থাকলে হাসপাতালে চেক দিন৷ কিন্তু ওষুধ কেনার সময় তো চেক দেওয়া সম্ভব নয়৷ তাই ওষুধের দোকানের ছবিটাও একইরকম৷ বিক্রেতাদের দাবি, “বাজারে আর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট চলছে না৷ তাই খুচরো করাতে অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ৫০০, ১০০০-এর নোটই বাড়িয়ে দিচ্ছেন৷ আমরা যথাসাধ্য খুচরো দেওয়ার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু আমাদের কাছেও তো অঢেল খুচরো নেই৷ তাই প্রেসক্রিপশন দেখে এমার্জেন্সি থাকলে তবেই ওষুধ দিচ্ছি, বাকিদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷” ওষুধের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ানো রোগীর বাড়ির লোকেরাও সময় মতো ওষুধ না পাওয়ায় বিরক্ত৷ সবমিলিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷

বুধবার সকালে সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছে৷ রাতারাতি সোনার দামও এক ধাক্কায় ৪ হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে৷ এক ধাক্কায় প্রতি দশ গ্রাম গহনার সোনার দাম চার হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে৷ কলকাতার সিইএসই অফিসের হালও এক৷ সেখানেও কর্মীরা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে চাইছেন না৷ বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার সকালে টালিগঞ্জ থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করেন৷ এদিনই যা অবস্থা, তাতে প্রতিশ্রুতি মতো ১১ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত কি সরকারি দফতরগুলি সঠিক পরিষেবা দিতে পারবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে৷

14997254_10210265668053703_252645408_n

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ