Advertisement
Advertisement

অভিযানে বাধা দিলে কাউকে রেয়াত নয়, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের

দেশের ভিতরে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে!

People obstructing anti terror ops will be held as terror sympathizer : COAS

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 15, 2017 2:50 pm
  • Updated:February 15, 2017 2:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় জওয়ানদের মৃত্যুতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ নয়া সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। বুধবার শহিদ জওয়ানদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে রাওয়াতের গলায় শোনা গেল হুঁশিয়ারির সুর। সাফ জানালেন, সেনা অভিযানের সময় যারা বাধা দেবে, এবার থেকে তাদেরও হামলাকারী হিসাবেই গ্রাহ্য করা হবে। হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরজুড়ে সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। সেনাবিরোধী হামলায় বহু জওয়ান প্রাণ হারান। প্রাণ বাঁচাতে সেনা পাল্টা গুলি চালালে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। কিন্তু এই পরিস্থিতি যে আর বরদাস্ত করা হবে না সে কথা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, “কেউ যদি পাকিস্তান বা আইএস-এর পতাকা তোলে, তাহলে তাকেও এবার থেকে দেশদ্রোহী হিসাবে বিচার করা হবে।”

ঘটনা হল, কাশ্মীর উপত্যকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযান চালাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছেন সেনাকর্মীরা। সেনাকে লক্ষ্য করে ঢিল-পাথর ছোড়া উপত্যকায় নিত্যদিনের ঘটনা। ভারতীয় সেনাকে পাথর ছোড়ার জন্য রীতিমতো মোটা টাকা দেওয়া হয় কাশ্মীরি যুবক-কিশোরদের। এর পিছনে পাক জঙ্গি ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে একাধিকবার সুস্পষ্ট তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের পর জঙ্গিদের টাকার জোগানে ভাটা আসায় পাথর ছোড়াও কমে গিয়েছিল বলে ইন্টেলিজেন্স সূত্রে খবর। নিরীহ কাশ্মীরবাসীদের বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখেন জওয়ানরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের সিংয়ের উদ্যোগে পেলেট গানও এখন খুবই কম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেনার মানবিকতার সুযোগ নিয়ে জঙ্গিদের পালানোর সুযোগ করে দেন কাশ্মীরের বাসিন্দাদের একাংশ।। কিন্তু আর এভাবে সাধারণ মানুষকে ঢাল করে জঙ্গিদের পালাতে দেওয়া হবে না বলে এদিন সুর চড়ালেন নয়া সেনাপ্রধান।

গত মঙ্গলবার কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি গুলি বিনিময়ের সময় এক মেজর-সহ চার জওয়ান শহিদ হন। সেনার গুলিতে মারা পড়ে চার জঙ্গিও। হাজিন ও হান্দওয়ারায় দুটি পৃথক এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছেন ওই চার সেনাকর্মী। হাজিনে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মেজর এস দাহিয়া। আরেক শহিদ সেনা জওয়ানের নাম ধর্মেন্দ্র কুমার, তাঁর বাড়ি নৈনিতালে। সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বার বাসিন্দা রাইফেলম্যান রবি কুমার। উত্তরপ্রদেশের জৈনপুরের বাসিন্দা গ্রেনেডিয়ার আশুতোষ কুমারও শহিদ হয়েছেন জঙ্গি হামলায়। শহিদ চার জওয়ানের প্রতি এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন, শহিদ ৩১ বছরের কর্নেল দাহিয়ার স্ত্রী ও এক দুই বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ