সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৪ বছরের মধ্যে ব্যতিক্রমী স্বাধীনতার দিবসের সাক্ষী গোটা দেশ। তবুও উৎসাহে কোনও ভাটা নেই। এদিন লালকেল্লা থেকে এক দেশ এক রেশন কার্ডের আদলে ‘এক দেশ এক হেলথ কার্ড’ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
[আরও পড়ুন: করোনার মার! স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে চাকরি হারালেন এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৮ পাইলট]
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি আরও বলেন, “নাগরিকদের মেডিক্যাল ডেটা রাখার জন্য হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসকদের একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্তকরা হবে৷ তবে এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, নাগরিক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে তবেই তারা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন৷ এই প্রকল্পে যুক্ত হলে প্রত্যেক নাগরিকের একটি সিঙ্গল ইউনিক আইডি তৈরি হবে৷ এই আইডি দিয়েই লগ ইন করা যাবে৷”
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন (National Digital Health Mission)-এর আওতায় এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটিই প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত থাকবে৷ এর পাশাপাশি আধার কার্ডের মতো প্রত্যেক নাগরিকের হেলথ আইডি কার্ড তৈরি করা হবে৷ এই তথ্য ভাণ্ডারে চিকিৎসকদের তালিকা সহ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকবে৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিককেই একটি করে হেলথ কার্ড তৈরি করতে হবে৷ ভবিষ্যতে সমস্ত রকমের টেস্টএবং চিকিৎসা করালে তার যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কার্ডের নম্বরে সংরক্ষিত থাকবে৷
এছাড়া, এদিন দেশে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার লাভ ও সুবিধা নিয়ে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের মতে, করোনা আবহে হেলথ কার্ড সংক্রান্ত ঘোষণা বড় পদক্ষেপ। এর ফলে প্রত্যেক মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য এক জায়গায় জমা থাকবে। ফলে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা প্রধান করা আরও সহজ হবে।