সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের অভিযোগ, কয়েক শতকের প্রথা ভেঙে দেবীর বিশ্রামের সময় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের মূল দ্বার খুলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই প্রথা ভেঙে আসলে, দেবী ত্রিপুরেশ্বরীর ভক্ত এবং তাঁদের পূর্বপুরুষদের অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছেন খোদ ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ে ভয়াবহ মাও হামলা, নিহত বিজেপি বিধায়ক-সহ ৬]
আসলে, খবরটি প্রথম ছড়ায় ত্রিপুরার একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে। ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ত্রিপুরা সফর চলাকালীন দুপুর ২টো বেজে ৩০ মিনিটে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ৫১৮ বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের মূল দ্বার দুপুর দেড়টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বন্ধ থাকে। শুধু মূল ফটক নয়, ওই সময় বন্ধ থাকে মন্দিরের পিছনের দরজাও। কথিত আছে, ওই দেড় ঘণ্টা সময় দেবী ত্রিপুরেশ্বরী বিশ্রাম করেন। ওই সময় দেবীকে বিব্রত করতে চান না ভক্তরা। তাই কোনও পরিস্থিতিতেই ওই দেড় ঘণ্টা সময় মন্দিরের মূল দ্বার খোলা হয় না। ওই সময় যাবতীয় রীতিনীতি পালন করা হয় মন্দিরের বাইরে থেকেই। কিন্তু রবিবার, প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে পৌঁছান আড়াইটে নাগাদ। তাঁর দর্শনের জন্যই প্রশাসনের নির্দেশে অসময়ে খোলা হয় মন্দিরের দরজা।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কখনও ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি, দাবি রাজনাথের]
শুধু তাই নয়, ওই সংবাদমাধ্যমটির আরও দাবি, যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক হাতে মন্দিরের ভিতরে ঢুকেছেন তাও ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের প্রথার বিরুদ্ধে। ওই সংবাদমাধ্যমের খবরকে হাতিয়ার করে, মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা। তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আর কিছু বলার নেই। আমাদের পূর্বপুরুষরা কয়েকশো বছর ধরে যে রীতি মেনে আসছেন, তা ভঙ্গ করা খুবই দুঃখজনক। সরকারের উচিত, এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দেওয়া। সরকারের তরফে, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও। বিজেপি শিবির পুরো অভিযোগকেই ভুয়ো এবং অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে।’