Advertisement
Advertisement

মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে, আধারের হয়েই ব্যাটিং প্রধানমন্ত্রীর

দেশ জুড়ে ক্ষোভ ঘনীভূত হতেই কি প্রশমনের রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী?

PM Modi lauds Aadhaar initiative during Delhi conference
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 26, 2017 9:46 am
  • Updated:October 26, 2017 9:46 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধার নিয়ে ক্রমাগত পিছু হটছে কেন্দ্র। ফের জনকল্যাণমূলক পরিষেবার ক্ষেত্রে আধার যোগের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযোগের ফরমানের বিরোধিতা করে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতেই আধারের হয়ে নতুন করে ব্যাট ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করছে আধার।

১০০ জন কৃষকের একটাই আধার নম্বর, বিপাকে মহারাষ্ট্র সরকার ]

Advertisement

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ক্রেতাসুরক্ষা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা রাখার সময় মোদি জানান, আধারের সবথেকে বড় সাফল্য হচ্ছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। যার যা দাবি ও অধিকার, তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা পালন করছে আধার। প্রধানমন্ত্রী এ কথা বললেন বটে, যদিও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সে ইঙ্গিত করছে না। কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডে অভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। জানা যায়, আধার না থাকায় রেশন পায়নি ওই পরিবার। সংসার চলত মেয়ের মিড ডে মিলের উপর ভরসা করে। স্কুল ছুটি সময় একসময় তাও বন্ধ হয়ে যায়। শেষমেশ না খেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই কিশোরী। এই ঘটনা আধার সংযোগের বাধ্যবাধ্যকতাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। এদিকে মোবাইলের সিম বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার যোগ নিয়েও দিকে দিকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ফোন নম্বরের সঙ্গে আধার যোগ তিনি করবেন না। তাঁর অভিযোগ, কেউ কারও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেও এবার তাতে আড়ি পাতবে কেন্দ্র। বস্তুত এই ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আধার যোগের যৌক্তিকতা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। এদিকে মহারাষ্ট্রে অন্তত একশো জন কৃষকের একটাই আধার নম্বর হওয়ায় বিতর্ক আরও দানা বেধেছে। ফলে দিকে দিকে আধার নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা তা আন্দাজ করেই প্রশমনের রাস্তায় হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী। অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে ফের আধারের গুরুত্ব প্রমাণে ব্যস্ত হলেন।

Advertisement

কিছু দিন আগে জিএসটিকে ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বস্তুত দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাসের ক্ষেত্রে জিএসটি চালু হওয়ার বড় ভূমিকা আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা জিএসটি ভাল করে বুঝতে না পারার ফলেই ধরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উৎপাদনকারীরা। ফলে কমছে আর্থিক বৃদ্ধি। ওদিকে আন্তর্জাতিক পুঁজি টানার ক্ষেত্রেও ভারত খুব সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। বিপদ বুধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে  নতুন করে টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। এদিন জিএসটি-কেও খানিকটা অক্সিজেন জোগান প্রধানমন্ত্রী। জানান, এর ফলে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। তাতে দ্রব্যের দাম কমবে। আখেরে লাভবান হবেন সাধারণ নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী এখনও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বটে। তবে তাতে ক্ষোভের মেঘ কতটা কাটবে সে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ