Advertisement
Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির অভিযোগ শহিদ জওয়ানের পুত্রের

কেন এমন কথা বললেন তিনি?

PM Modi makes false promises, says slain CRPF officer’s son
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 26, 2017 6:47 am
  • Updated:June 26, 2017 6:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের কাছে পান্থ চকে কর্তব্যরত আধাসেনার উপর হামলা চালিয়েছিল লস্কর জঙ্গিরা। প্রাণ হারিয়েছিলেন এসআই সাহেব শুক্লা। আহত হয়েছিলেন আরও দুই জওয়ান। কিন্তু জঙ্গি হামলায় বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও,  দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ায় তাঁর উপর গর্বিত সাহেব শুক্লার পুত্র দেবাশিস শুক্লা। এমনকী প্রয়োজনে নিজেও দেশের সেবায় প্রাণ দিতে প্রস্তুত, এমনটাই জানান তিনি। তবে এর মধ্যেই এমন একটি মন্তব্য করলেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির অভিযোগ আনলেন দেবাশিস।

[নীল বিকিনিতে নেটদুনিয়া কাঁপানো এই অভিনেত্রীকে চেনেন?]

বহুদিন ধরেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উপত্যকায়। যার জেরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহিদ হয়েছেন বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার জানিয়েছেন, খুব দ্রুতই কাশ্মীর সমস্যা মেটানো হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কঠোরভাবে জঙ্গিদমন করা হবে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন শহিদ এসআই পুত্র দেবাশিস শুক্লা। তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য আমার বাবা প্রাণ দিয়েছেন। সেজন্য আমি গর্বিত। প্রয়োজন হলে আমি নিজেও দেশসেবার জন্য এগিয়ে যাব। সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় এমন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।’

Advertisement

[জানেন, কেন হাতে কালো কাপড় বেঁধে ইদের নমাজে মুসলিমরা?]

গত শনিবার শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের নিকট পান্থ চকে সেনার কনভয়ে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। তখন গাড়ির মধ্যেই ছিলেন সাহেব শুক্লা। জঙ্গি আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেই সেনা পালটা অভিযান চালায়। যার ফলে জঙ্গিরা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি স্কুলে ঢুকে পড়ে। তারা স্কুলে ঢুকতেই স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। একজন জঙ্গিও যাতে না পালাতে পারে, তার জন্য রাতেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ওই এলাকা সহ গোটা শ্রীনগর। তারপর ভোর সাড়ে তিনটে থেকে শুরু হয় সেনা-জঙ্গি তীব্র গুলির লড়াই। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর দখলমুক্ত হয় স্কুলটি। সেনার গুলিতে নিকেশ হয় দুই জঙ্গিও। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। গুলির লড়াইয়ে তিন সেনা জওয়ান আহত হন। জঙ্গি নিকেশের পর গোটা স্কুলে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর না মেলায় অপারেশনে দাঁড়ি টেনে দেয় সেনা। সম্প্রতি জম্মু কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাঁটিতে ২ জওয়ানের শিরচ্ছেদ করেছিল ব্যাট। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক সেনা। তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই অভিযোগে সেনার পরিবার অনশনে বসতে চেয়েছিল। জঙ্গি দমন নিয়ে অনেক কথা বললেও, এই ঘটনায় স্পষ্ট প্রশাসনের প্রতি শহিদ পরিবারগুলির আস্থা কমছে।

Advertisement

[বাংলার একতা কেউ ভাঙতে পারবে না, ইদে বার্তা মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ