সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন ৪.০ শেষের দিন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’-এ নজর ছিল আপামর দেশবাসীর। করোনা যোদ্ধাদের প্রশংসা থেকে চিকিৎসায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা, আবার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা থেকে আমফানের তাণ্ডব, সবটাই উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মনের কথায়। সেখানে বলতে গিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করলেন দেশের নয়া চ্যালেঞ্জ নিয়েও। পঙ্গপালের হানা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী, তবে তেমন সেই হানাদারি ঠেকাতে কেন্দ্র সরকারি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে সম্পর্কে কার্যত কিছুই বললেন না নরেন্দ্র মোদি। রবিবারের মনের কথায় অবশ্য বাংলা ও ওড়িশার প্রশংসা করলেন তিনি। দু-রাজ্য যেভাবে আমফানের তাণ্ডবের মোকাবিলা করেছে, তা নিসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয় বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত তিন মাস ধরে দেশে করোনার দাপট চলছে। লকডাউন করে সংক্রমণের গতি কমানোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য। তাতে সাফল্য এসেছে বলেই মত প্রধানমন্ত্রীর। তবে করোনার দাপটে ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। তা সামাল দেওয়ার আগেই নতুন শত্রুর মুখোমুখি দেশ। মানুষকে ভাতে মারতে পাকিস্তান থেকে হাজির হয়েছে ঝাঁক ঝাঁক পঙ্গপাল। মধ্য ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির চাষি ও কৃষি আধিকারিকদের কার্যত তুর্কি নাচন নাচাচ্ছে এই পঙ্গপালের দল। ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতি করেছে তারা। এবং এই পতঙ্গের হানা যে কেন্দ্র সরকারকে চিন্তায় রাখছে তা রবিবার আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেন। মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল এই আতঙ্কের কথা। মানুষের দুর্দশার কথা। কিন্তু এই শত্রুদের মোকাবিলা হবে কোন পথে, কেন্দ্র কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে সম্পর্কে অবশ্য টু শব্দটি করেননি প্রধানমন্ত্রী।তাঁর কথায়, ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পঙ্গপাল হানা দিচ্ছে। বহু এলাকা এতে ক্ষতির মুখে পড়বে। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে, একটা ছোট পতঙ্গ আাদের কত ক্ষতি করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে চাষের ক্ষেত্রের এই ক্ষতি এড়াতে পারব আমরা।” পঙ্গপাল তাড়াতে প্রশাসনের বদলে গ্রামবাসীদের সতর্ক হতে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পঙ্গপাল যখনই হানা দেবে, তখনই গ্রামবাসীরা সতর্ক থাকুন। টায়ার পোড়ানোর ধোঁয়ায় পঙ্গপাল পালিয়ে যায়। েমনকী ড্রামের শব্দেও তারা পালিয়ে যেতে পারে।”
[আরও পড়ুন : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ভাঙড়, রাতভর দেদার বোমাবাজি-ইটবৃষ্টি]
এদিকে এদিন অবশ্য বাংলা ও ওড়িশার সরকার ও মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, “আমফানের দাপটে ছারখার হয়েছে বাংলা ও ওড়িশা। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই রাজ্যের চাষিরা। আমি পরের দিনই দুই রাজ্য পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানকার মানুষ যেভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে, তা নিসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয়।” তবে পঙ্গপাল হানার মোকাবিলা নিয়ে পদ্ধতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা না বলায়, কিছুটা হলেও হতাশ চাষিরা।