সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ জুন ১৯৭৫ সাল। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অতীতের সেই কালো অধ্যায় তুলে ধরে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার এমার্জেন্সির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে ফের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাবি করলেন, দূরদর্শনে দেব আনন্দের ছবি দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাত শিবির। কিংবদন্তি বলিউড তারকার ‘অপরাধ’ ছিল তিনি প্রকাশ্যে এমার্জেন্সি নীতির প্রতি তাঁর সমর্থন জানাতে রাজি হননি।
এদিন রাজ্যসভায় প্রায় দেড়ঘণ্টার ভাষণ দেন মোদি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”দেব আনন্দকে অনুরোধ করা হয়েছিল এমার্জেন্সিকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে। কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন। আর তারপর দেব আনন্দের সমস্ত ছবিই দূরদর্শনে দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।” প্রসঙ্গত, বলিউডের ‘এভারগ্রিন’ অভিনেতা নিজের বইয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছিলেন।
এরই পাশাপাশি মোদি উল্লেখ করেন কীভাবে জওহরলাল সরকার অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরকে বরখাস্ত করেছিল। পাশাপাশি গীতিকার মজরু সুলতানপুরী, অভিনেতা বলরাজ সাহনির মতো প্রসিদ্ধ শিল্পীকেও কংগ্রেস আমলে জেলে পাঠানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি লাইসেন্সরাজ থেকে জাতিগণনার মতো নানা ইস্যুতে দীর্ঘ ভাষণের অনেকটা অংশ জুড়েই কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন মোদি। বরাবরের মতো পরিবারবাদের প্রসঙ্গ তুলেও তিনি আক্রমণ করেন।
এদিকে কংগ্রেসও মোদিকে পাল্টা দিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ তাঁকে খোঁচা মেরে বলেন, মোদির কথা মানেই ‘মিথ্যের নদী’! পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বরাবরই ইতিহাসকে ‘পাল্টে’ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। উদ্দেশ্য জনতার থেকে আসল ইস্যুটা যাতে সরিয়ে রাখা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.