সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যালো, আমি নরেন্দ্র মোদি। কেমন আছেন। চিনতে পারছেন তো। হ্যাঁ, এমনই ফোন আসতে শুরু করেছে গুজরাটের বিজেপি নেতা, কর্মীদের কাছে। দিনে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল থেকে অন্তত সাত-আটটি ফোন যাওয়া শুরু হয়েছে। ভোটমুখী গুজরাটে কর্মী, সমর্থকদের তাতাতে এটাই জনসংযোগের কৌশল নমোর।
[পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধৃত আইপিএস অফিসার]
ষষ্ঠবার গুজরাটে সরকার গড়ার লক্ষ্যে গেরুয়া শিবির। রাহুল গান্ধীর আস্ফালন, হার্দিক প্যাটেল-সহ বিরোধীদের একমঞ্চে আসার তোড়জোড়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের লড়াই যে খানিকটা কঠিন তা বিলক্ষণ বুঝেছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। ফের গুজরাট দখলের লক্ষ্যে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদিই পদ্ম শিবিরের ট্রাম্প কার্ড। নিজে ২০০১-১৪ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তালুর মতো চেনেন গুজরাটকে। দলকে চাঙ্গা করতে মোদি ফোন তুলে কথা বলবেন দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় চায়ে পে চর্চা, থ্রি ডি প্রজেকশনে অন্যান্য দলগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। এবার কৌশল পালটেছেন। বিজেপি মিডিয়া সেলের প্রধান হর্ষদ প্যাটল বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ফোন করলে গুজরাটবাসীর পাশাপাশি দলের কর্মীদের মধ্যে বিশাল প্রভাব পড়বে। এর থেকে বোঝা যাবে তিনি প্রকৃত জননেতা। ফোন-আ-ফ্রেন্ডের মাধ্যমে পুরনো কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নমোর। উন্নয়ন পাগল হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচার তীব্র করেছে কংগ্রেস। এর পালটা হিসাবে বিজেপির এই চাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[প্রেমিককে কাছে পেতে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকার!]
মোদির টেলিফোনে কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ এখন বিজেপি কর্মীদের হাতে-হাতে ঘুরছে। প্রথম ক্লিপে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ভদোদরার এক বিজেপি নেতার সঙ্গে কথা বলছেন। ওই নেতাকে মোদির পরামর্শ কোনওরকম নেতিবাচক প্রচার চলবে না। কংগ্রেসের নাম না করে সেখানে মোদি বলেন, ওরা আমার বিরুদ্ধে কত কথা বলেছিল। প্রচার করেছিল আমার হাত রক্তের দাগ। কিন্তু জনগণ সত্যিটা জানেন। এখনও অপপ্রচার চলছে। বি গোহিল নামের ওই বিজেপি নেতা মোদির ফোন পেয়ে আপ্লুত। গোহিলের বক্তব্য এমন সাধারণ কর্মীর সঙ্গে যিনি কথা বলতে পারেন তাঁর হৃদয় সত্যিকারের বড়। আর একটি ক্লিপে মোদি ভালসাদ জেলার এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সুমিত্রাবেন নামে ওই কর্মীকে মোদি কয়েক বছর আগের এক কথা মনে করিয়ে দেন। মোদি জানান সুমিত্রাবেন তাঁর জন্য রান্না করে এনেছিলেন। এভাবেই জনসংযোগ ঝালিয়ে নিচ্ছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। ফোন কলের মাধ্যমে রাজ্যের ২৫ হাজার কর্মীর একটি অংশের কাছে তিনি পৌঁছে যেতে চাইছেন।