সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলে তিনিই মুখ, শেষ কথা। গণতান্ত্রিক দল হলেও বিজেপিতে আসল খুঁটি নরেন্দ্র মোদি। গেরুয়া শিবিরে তাঁর প্রতাপ অজানা নয়। তবে বেনজিরভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন এক বিজেপি সাংসদ। যে অভিযোগ নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অহরহ করেন, কার্যত সেই ভাষাতেই দলের সর্বময় নেতাকে বিঁধলেন মহারাষ্ট্রের এক সাংসদ। বিজেপ সাংসদ নানা পাতোলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীকে কোনও কথা বলাই যায় না। জোর করে থামিয়ে দেন।
[গোরক্ষপুরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘হিরো’ চিকিৎসক কাফিল খান]
সম্প্রতি বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানেই ওবিসিদের জন্য আলাদা মন্ত্রক এবং কৃষকদের আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে বলতে উঠেছিলেন নানা। বিজেপি সাংসদের দাবি, তিনি প্রশ্ন করায় নরেন্দ্র মোদি ক্ষেপে যান। ভান্ডারা-গোন্ডিয়ার সাংসদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রশ্ন শুনলেই বিরক্ত হন। এই নিয়ে তিনি কিছু বলতে গেলে মোদি তাঁকে থামিয়ে দেন। উলটে নানাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন আপনি কি দলের ইশতাহার পড়েননি? যদি পড়ে থাকেন সরকারের নানা রকম প্রকল্প নিয়ে কথা বলুন। কয়েকশো বিজেপি সাংসদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণে স্তম্ভিত মহারাষ্ট্রের ওই জনপ্রতিনিধি। নানার বক্তব্য, তিনি যে কথা বলতে চেয়েছিলেন তা আসলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা। মোদি রেগে গিয়ে তাঁকে চুপ করতে বলেন। তাঁর সংযোজন নরেন্দ্র মোদি নিয়মিত সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কোনওরকম প্রশ্ন শোনার ধৈর্য দেখান না।
[খুচরোয় নাকাল ভিক্ষুক একাই ডাকলেন ৪৮ ঘণ্টার বাংলা বনধ!]
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। নানার মতে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের জন্য আর্থিক বরাদ্দ আনতে ব্যর্থ। মুম্বই দেশকে প্রচুর বাণিজ্য দিলেও দেশের পশ্চিম প্রান্তের দিকে কেন্দ্র সরকারের হুঁশ নেই। এই নিয়ে কেন্দ্রকে বোঝাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। ফড়নবিস প্রশাসনিক হিসাবে কতটা সফল তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। নানার বক্তব্য, সংসদে অধিবেশনের আগে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে আলোচনার ধার ধারেন না মুখ্যমন্ত্রী। অথচ, সবাই মিলে বসলে রাজ্যের দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে পরকিল্পনা করা যায়। মুখ খোলার জন্য যে তাঁকে কোণঠাসা হতে হবে তাও বোধহয় বুঝে গিয়েছেন নানা। নাগপুরের এলাকার এই সাংসদের কথায় তিনি টিকিটের জন্য লালায়িত নন।