চলছে উদ্ধারকাজ।
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ভয়াবহ ভূমিধসে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন। হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন সেখানে। পর্যটকদের কোলে, কাঁধে করে নামিয়ে আনতে দেখা গেল পুলিশ কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকদের। পর্যটকদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে হোটেল মালিকরাও। আটকে থাকা পর্যটকদের জন্য নিখরচায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে হোটেল মালিক সংগঠন। আজ শনিবার অনেক পর্যটককে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে খবর। ধস সরিয়ে রাস্তা তৈরি করে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে বধ্যপরিকর প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধসের কবলে পড়ে লাচুং ও লাচেন। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ। যদিও প্রথম দিকে কোনওভাবেই ধস সরানোর কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। ধস সরানোর পাশাপাশি রাস্তা সচল করার কাজও চলতে থাকে। পাশাপাশি ওই বিকল্প রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টাও শুরু হয়। ক্রমে আবহাওয়ার উন্নতি হলে উদ্ধারকাজে গতি আসে। শনিবার দুপুর থেকে ভূমিধসে বিপর্যস্ত ওই রাস্তা পার করে কিছুটা ঘুরপথে পর্যটকদের মঙ্গনে নামিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। পুলিশকর্মী ও হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ওই অভিযানে নেমেছেন। পর্যটকদের কোলে-পিঠে তুলে কার্যত নদীর চেহারা নেওয়া রাস্তা পারাপার করা হয়েছে। রবিবার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে, উদ্ধারকাজে আরও গতি আসবে বলে মত প্রশাসনের।
মঙ্গন জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ ধস সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। লাচুং এবং চুংথাংয়ের মধ্যে রাস্তাটি খুলে দিতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে অন্য রাস্তা রবিবার খুলে দেওয়ার চেষ্টা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে পর্যটকরা আর হোটেলবন্দি থাকতে ইচ্ছুক নন। সে কারণেই পরিস্থিতি বুঝে উদ্ধারকাজ চলছে।
লাচেন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি রিনাম লাচেনপা বলেন, “রবিবারের আগে সব পর্যটক মঙ্গনে নামতে পারবেন না। যে পর্যটকরা হাটতে পারবেন না তাদের হোটেলে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য হোটেল ভাড়া এবং খাবারের জন্য বাড়তি টাকা দিতে হবে না।” তিনি জানান, আটকে পড়া কিছু পর্যটককে হেঁটে বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের এমন কিছু জায়গায় হেঁটে যেতে হবে যেখানে রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এরপর গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.