Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

বাজপেয়ী-আডবানী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি তৃণমূলে? মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বাড়ল জল্পনা

তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউর প্রাক্তন সাংসদ পবন ভার্মা।

Political Strategist Sudhindra Kulkarni meets TMC leader Mamata Banerjee at Delhi | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 23, 2021 3:28 pm
  • Updated:November 23, 2021 4:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি তৃণমূলের পথে অটলবিহারী বাজপেয়ী-লালকৃষ্ণ আডবানী-নীতিন গড়কড়ি ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি ? মঙ্গলবার দিল্লিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পরই বেড়েছে জল্পনা। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আর সুধীন্দ্র কুলকার্নির প্রতিক্রিয়া, “এই সাক্ষাতের অর্থ আপনারাই বুঝে নিন।” দিল্লির ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজনৈতিক কৌশলীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে জল্পনা সত্যি করে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউর প্রাক্তন সাংসদ পবন ভার্মা। দলবদলের পরই তিনি জানালেন, “দলনেত্রী যে দায়িত্ব দেবেন তাই পালন করব। ২০২৪ সালে দিদি দিল্লির ক্ষমতা সামলাতেই পারেন। “

Advertisement
Pawan Verma
তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউর প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা।

[আরও পড়ুন: গো-শিরা বুকে বসিয়ে খুদেকে পুনর্জন্ম দিল NRS হাসপাতাল, খরচ মাত্র দু’টাকা!]

চারদিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ক’দিন ঠাসা রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।  সেই সফরের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব-জাভেদ আখতার এবং সুধীন্দ্র কুলকার্নি। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা কথাবার্তা হয়। তবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সুধীন্দ্র।

Advertisement
Abhishek Banerjee with Mamata Banerjee
দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুধীন্দ্র কুলকার্নি, জাভেদ আখতারের। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

[আরও পড়ুন: প্রেমের টানে মেক্সিকো ছেড়ে বাংলাদেশে যুবতী, বিয়ের পর বদলে নিলেন ধর্ম-নামও]

দিল্লির রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুধীন্দ্র। এমনকী, তাঁর বক্তব্যও লিখে দিতেন তিনি। ২০০৮ সালে বিজেপি থেকে সরে এসেছিলেন। পরবর্তী কালে লালকৃষ্ণ আডবানীর রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবেও ফের কাজ শুরু করেন। ২০১২ সাল নাগাদ নীতীন গড়কড়ির হয়ে কাজ করেছেন সুধীন্দ্র। কিন্তু ২০১৪ সালে বিরোধের সূত্রপাত। তৎকালীন  গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন সুধীন্দ্র।

Mamata-Pawan-Verma
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ জেডিইউয়ের প্রাক্তন সাংসদের।

উলটে সরাসরি রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে সুধীন্দ্র কুলকার্নির তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, কয়েক মাস আগেই দিল্লি এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতার এবং তাঁর স্ত্রী শাবানা আজমিও।  এবারও সাক্ষাৎ করলেন জাভেদ। ভবিষ্যতে তিনিও কি তৃণমূলে যোগ দেবেন, উঠছে প্রশ্ন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ