Advertisement
Advertisement
রাষ্ট্রপতি

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর, অশান্ত অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

ডিব্রুগড়ে কারফিউ শিথিল করা হল।

President Ram Nath Kovind gave his assent to the CAB, 2019
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 13, 2019 9:03 am
  • Updated:December 13, 2019 9:03 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভায় বিল পাশ হতেই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়ল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯-এ (ক্যাব)। বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে রামনাথ কোবিন্দ বিলে স্বাক্ষর করে এটিকে আইনে পরিণত করলেন। এর ফলে, প্রতিবেশ তিন দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এই আইনের মাধ্যমে।

এদিকে, ক্যাব পাশের প্রতিবাদে উত্তাল অসম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য। বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার মানুষ। দোকান, গাড়ি, বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগাল জনতা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত উত্তেজনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। সরকারি সূত্রে অবশ্য তিন জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তিনসুকিয়ায় আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন নারায়ণ নামে এক প্রৌঢ়। বিহারের বাসিন্দা নারায়ণ হিজুগুড়ি এলাকায় একটি বাঙালি হোটেলে কাজ করতেন। বিক্ষোভকারীরা হোটেলে আগুন লাগানোয় তাঁর মৃত্যু হয়। গুয়াহাটির লাচিতনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দীপাঞ্জল দাস নামে সেনা ক্যান্টিনের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটিরই হাতিগাঁও শংকর পথে পুলিশের গুলিতে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি সূত্রের দাবি, শংকর পথে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বশিষ্ঠ নতুন বাজার এলাকাতেও এক জন পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছেন।

Advertisement

বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। প্রায় গোটা রাজ্যেই অসমীয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকেই রাজধানী দিসপুর, গুয়াহাটি-সহ বঙ্গাইগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলির মতো জেলাগুলিতে পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। বিপদ বুঝে একাধিক অঞ্চলে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করেছে প্রশাসন। গুয়াহাটিগামী সমস্ত ট্রেন এবং বিমান বাতিল করা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গুয়াহাটির। কিন্তু তাতেও দমন করা যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের। কারফিউ উপেক্ষা করেই পথে নামছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও পাথর ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা।

অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে ডিব্রুগড়ে বিক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় আটটা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। অসমের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় আলোচনার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য আবেদন করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement