Advertisement
Advertisement

Breaking News

চাকমা-হাজংদের নাগরিকত্ব ইস্যু, প্রতিবাদে উত্তাল অরুণাচল প্রদেশ

নাগরিকত্ব ইস্যুতে মত নেই অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর।

Protest in Arunachal Pradesh over citizenship to Chakma, Hajongs
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 20, 2017 4:45 am
  • Updated:August 12, 2021 5:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকমা ও হাজংদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় ৫৪ হাজার শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে, ২০১৫ সালে চাকমা, হাজংদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

APST-bus-on-fire

Advertisement

[স্বচ্ছতার অভিযান সফল করতে তারকাদের খোলা চিঠি মোদির]

Advertisement

তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ও কেন্দ্রের পদক্ষেপের পরেও, নাগরিকত্ব ইস্যুতে মত নেই অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খানডুর। মূলত রাজ্যবাসীর আপত্তিতেই চাকমা-হাজং শরণার্থীদের নাগরিকত্বে তিনি নারাজ বলে সূত্রের খবর। বিজেপি শাসিত রাজ্য অরুণাচলের কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন শরণার্থীদের বোঝা বইতে নারাজ। ফলে এই ইস্যুতে গায়ের জোরে চাকমা-হাজং শরণার্থীদের অরুণাচলের নাগরিক হিসেবে চাপিয়ে দিলে ফল বিপরীত হবে বলে মত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। আবারও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী খানডু।

rally_0

[দার্জিলিংয়ে ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে মর্মান্তিক পরিণতি, খাদে পড়ে মৃত ৪]

এদিকে, চাকমা-হাজংদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে অরুণাচলপ্রদেশ ছাত্র সংগঠন রাজ্য জুড়ে বনধ ডাকে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনাও ঘটে। ইটানগরে ভাঙচুর করা হয় বাস ও গাড়িতে। চারটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।  রাজ্যে বনধ ছিল সর্বাত্মক। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট-পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা।ইটানগরে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে চলে ভাঙচুর।

arunachal

[এলাকা সাফাই হবে কবে? প্রশ্নকর্তাকে সপাটে চড় বিজেপি নেত্রীর]

সম্প্রতি রাজনাথ সিং, অরুণাচলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করেন। তবে সেখানেও এই জনগোষ্ঠী দু’টিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিপক্ষে সওয়াল করেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, এদের নাগরিকত্ব দিলে রাজ্যের  জনবিন্যাস বদলে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে।

[সব রোহিঙ্গাকে জঙ্গি ভাবা ঠিক নয়, কেন্দ্র বিরোধী সুর চড়ালেন মমতা]

২০১৫ সালে ওই দুই সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়া ইস্যুতে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়েই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সাল নাগাদ অসমের লুসাই পাহাড় হয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন। অরুণাচল প্রদেশে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে আসা এই জনগোষ্ঠীর মোট শরণার্থীসংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ