Advertisement
Advertisement

নজরকাড়া সাফল্য, চা বিক্রি করেই মাসে উপার্জন ১২ লক্ষ টাকা

পকোড়া-চপ নয়, বাজিমাত করল চা।

Pune Tea seller sets Benchmark, makes Rs. 12 lakh per month
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 4, 2018 9:36 am
  • Updated:September 14, 2019 3:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পকোড়া রাজনীতি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রীর এক কথাতেই বিরোধীরা রে রে করে উঠেছে। প্রশ্ন, কোথায় কর্মসংস্থান? তার বদলে কি পকোড়া বেচে দিন কাটাবে তরুণরা? এহেন বিতর্কের মধ্যেই কিন্তু নজির গড়লেন পুণের এক চা বিক্রেতা। শুধু চা বিক্রি করেই তাঁর মাসিক উপার্জন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।

 ইটালিতে ভোট আছে নাকি? রাহুলের মামারবাড়ি যাত্রায় হুল অমিত শাহের ]

Advertisement

কর্মসংস্থান নিয়ে বলতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, কেউ যদি পকোড়া বিক্রি করেও ভাল উপার্জন করেন তাহলে কিন্তু মন্দ নয়। অনুরূপ কথা শোনা গিয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পকোড়া থাকলে, তাঁর সওয়াল ছিল চপের পক্ষে। বলা বাহুল্য দু’জনেই বিস্তর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। কর্মসংস্থান না করতে পারার বিকল্প হিসেবে এই সব প্রসঙ্গের উত্থাপন বলে সরব হয়েছে তাঁদের বিরোধীরা। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গোল পকোড়া বা চপ নয়, চা তৈরি করেই লাখপতি হওয়া যায়। এবং তাই-ই করে দেখিয়েছেন পুণের ব্যবসায়ী নভনথ ইয়েলে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করেছেন ‘ইয়েলে টি হাউস’। যেদিন প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন, সেদিন ভাবেননি সংস্থা এত বড় হবে। তবে স্বপ্ন ছিল, জেদ ছিল। তখনও প্রধানমন্ত্রী পকোড়ার কথা বলেননি। তখনও বাজারে এত শোরগোল ছিল না। কিন্তু নভনথ জানতেন, কাজ যেমনই হোক না কেন, যদি তা সঠিকভাবে করা যায়, তবে ফল ফলবেই। সবুর করেছিলেন। মেওয়াই ফলল। এখন স্রেফ চা বিক্রি করেই তাঁর উপার্জন মাসে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।

Advertisement

অ্যাপ দিয়ে খাবার আনানোর বায়না কার্তির ]

পকোড়া বা চপ-এ উপার্জনের কথা বলে আসলে দুই দুঁদে রাজনীতিক উসকে দিয়েছিলেন ছোট কাজ থেকে বড় উপার্জনের সম্ভাবনাকে। রাজনীতির ময়দানে তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু নভনথের এই প্রয়াস জানিয়ে দিচ্ছে, কথাটা খুব ভুল বলেননি পোড় খাওয়া দুই রাজনীতিক। যে কোনও কারণেই হোক দেশে শিল্পের তেমন বিকাশ নেই। নেই বিদেশি বিনিয়োগের সমূহ সম্ভাবনা। চাকরির বাজারও আহামরি কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপার্জনের পথে ঝুঁকছেন অনেকেই। সেই প্রয়াসকে আরও সংগঠিত করলে নভনথের মতো সাফল্য মেলে। শুধু নিজের উপার্জনের কথা ভেবেই ক্ষান্ত হননি তিনি, পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগও করে দিয়েছেন। আপাতত পুণেতেই তিনটি সেন্টার আছে তাঁর। একডাকে সকলেই চেনেন তাঁর সংস্থাকে। এবার সেটিকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার প্রয়াস তাঁর। পকোড়া, চপ নিয়ে বিতর্ক চলুক, দিনের শেষে লক্ষ্মীলাভই শেষ কথা। হোক না তা চা বেচে, ক্ষতি কী! নভনথের সাফল্য যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।

[  দলিত যুবকের সঙ্গে প্রেম, ফলের রসে বিষ মিশিয়ে তরুণীকে খুন মা-বাবার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ