সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act, 2019) বিরোধী আন্দোলনকারীদের পথ দেখিয়েছে শাহিনবাগ। এবার দিল্লির নির্বাচনেও ভোটারদের পথ দেখাতে উদ্যোগী সেখানকার বাসিন্দারা। শনিবার সকাল থেকে গোটা দিল্লিবাসী যেখানে ভোটদানে সেভাবে উৎসাহ দেখায়নি, সেখানে একেবারেই উলটো ছবি দেখা গিয়েছে শাহিনবাগ এবং জামিয়া সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। শাহিনবাগে সকাল থেকেই ভোটারদের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারদের উৎসাহ। একই ছবি জামিয়াতেও।
A queue of voters at a polling booth in Shaheen Public School in Shaheen Bagh, Okhla. AAP’s Amanatullah is the sitting MLA and 2020 candidate of the party, he is up against Congress’s Parvez Hashmi and BJP’s Brahm Singh Bidhuri. #DelhiElections2020 pic.twitter.com/4hB60BtqGd
— ANI (@ANI) February 8, 2020
[আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচন ২০২০ LIVE: ভোট ঘিরে অশান্তি, আপ কর্মীকে সপাটে চড় কং প্রার্থী অলকা লাম্বার]
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে শাহিনবাগ। আবার এই এলাকাকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে একাধিক বিতর্ক। সেসব উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু, গোটা দিল্লিতে যেখানে ভোটদানে মানুষের উৎসাহ কম, সেখানে শাহিনবাগে এত লম্বা লাইন কেন? উত্তরটা খুব সহজ। এখানকার বাসিন্দারা বলছেন, “এবারের ভোট সংবিধান বাঁচানোর। স্থানীয় কোনও ইস্যু নেই। বিদ্যুৎ, নিকাশি বা রাস্তাঘাটের কোনও সমস্যা নেই। এবারে আমরা ভোট দিচ্ছি জাতীয় ইস্যুতে।” ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বললেন, “আমি এবার ভোট দিচ্ছি ভারতবর্ষের জন্য। এদেশের সংবিধানের জন্য।” স্পষ্টতই তাঁদের ইঙ্গিত, কেন্দ্র সরকারের আনা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতেই ইভিএমে ঝড় তুলতে চাইছে শাহিনবাগ।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে পোলিং অফিসারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দিল্লিতে]
এই শাহিনবাগ এলাকাটি পড়ে দিল্লির ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে। এই এলাকায় আগেরবার বড় ব্যবধানে জিতেছিল আম আদমি পার্টি। আপ বিধায়ক আমানতুল্লা খান এবারেও প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের পারভেজ হাসমি এবং বিজেপির ব্রহ্ম সিং বিধুরি। এই ওখলা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বেশি। তার উপর রয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যু। সব মিলিয়ে, বিজেপি প্রার্থীর থেকে অপর দুই প্রার্থী লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।