Advertisement
Advertisement

রাফালে দিয়েই ঘায়েল করা হবে শত্রুদের: বায়ুসেনা প্রধান

আকাশপথেই শত্রুকে দমনের ইঙ্গিত ধানোয়ার।

Rafale to help down enemies, says BS Dhanoa
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 12, 2018 6:07 pm
  • Updated:September 12, 2018 6:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনাকে যে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, তা পৃথিবীর কোনও দেশকে করতে হয় না। বুধবার বায়ুসেনার এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বি.এস ধানোয়া। সবরকম কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা প্রস্তুত আছে বলেও মন্তব্য করেন বায়ুসেনা প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, শত্রুপক্ষকে ধরাশয়ী করতে হলে সামরিক ক্ষেত্রে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। ইতিমধ্যেই চিন তিব্বতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতের চাই আরও বেশি যুদ্ধবিমান।

[কমিউনিস্ট চিনে আপত্তি নেই, সংঘের সভায় ব্রাত্য পাকিস্তান!]

Advertisement

বায়ুসেনা প্রধান জানান, রাফালে বিমান এবং মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এস ৪০০-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ভারতের কাছে ৩১ স্কোয়াড্রন থাকা সত্ত্বেও তা শত্রু মোকাবিলায় যথেষ্ট নয় বলে মত তাঁর। সাম্প্রতিক সময়ে এই রাফায়েল চুক্তি নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধী দলগুলি বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে। এই বিষয়ে নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান। মোদি সরকারকে এই বিষয়ে সমর্থন করে তিনি বলেন, রাফালে বিমানের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা আরও সহজ হবে। তিনি এও জানান, ভারতের কাছে বেশ কিছু অস্ত্রের অভাব রয়েছে যার জন্য অনেকক্ষেত্রেই শত্রু মোকাবিলার কাজ কিছু ক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে।

Advertisement

এ দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে নেপাল। ভারতকে রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে চিনের সঙ্গে মহড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। আগামী ১৭ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের চেংদুতে চিনা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে নেপালের সেনাবাহিনী। সেপ্টেম্বরেই ভারতে হতে চলা বিমস্টেক জোটের সব দেশগুলির সেনাদের নিয়ে যে মহড়া হওয়ার কথা তাতে নেপালের সেনাবাহিনী যোগ দেবে না বলে জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি।

[নির্বাচনে কলকাঠি নাড়তে পারে বিদেশি শত্রুরা, আশঙ্কায় কঠোর ব্যবস্থা ট্রাম্পের]

নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোকুল ভান্ডারী জানান যে, চিন-নেপাল যৌথ মহড়ার নাম দেওয়া হয়ছে “সাগরমাতা মৈত্রী-২’’। এর আগেও চিনের সঙ্গে নেপাল যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। এবার ১২ দিনের মহড়া চলবে। দু’দেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ মহড়া থেকেই চিন-নেপাল সম্পর্ক আরও বাড়বে ধরে নেওয়াই যায়। নানা বিষয়ে নেপালের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে চিন। ভারতকে কোণঠাসা করতেই চিনের এমন পদক্ষেপ মনে করছে বিশ্বের রাজনৈতিক মহল। আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিদদের কথাতেও স্পষ্ট ভারত মহাসাগরে চিন একাধিপত্য বিস্তারে নেপালের মত ছোট দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ